‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া এবং মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করায় এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।’ এমন মন্তব্য করেছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত ।
৭ মার্চ উপলক্ষ্যে সকালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর এমন মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, এটি একটি কালজয়ী ভাষণ। এই ভাষণ শুধু ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই অনুপ্রাণিত করছিল তা নয়, বরং এটি যুগ যুগ বিশ্বের সকল বঞ্চিত, অবহেলিত ও স্বাধীনতাকামী জাতিগুলাকে অনুপ্ররণা জাগিয়ে আসছে। এ ভাষণ সব দেশ, জাতি ও সম্প্রদায়র জন্য প্রাসঙ্গিক। এ কারণই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণক ২০১৭ সালে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ১৮ মিনিটের এ ভাষণে তিনি বাঙালির স্বাধীনতার সারমর্ম বলেছিলেন যা তার পূর্ব নির্ধারিত বা লিখিত ভাষণ ছিল না। এ ভাষণের মাধ্যমে তিনি পরাক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ ভাষণ আজ বিশ্ব স্বীকৃত। এই ভাষণের তাৎপর্য অনুধাবন করে গণতান্ত্রিক, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ধারণ, লালন ও বিকাশ ঘটাতে হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসুসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
