শেরপুরের গারো পাহাড়ের গভীর অরণ্যে চলছিল শবনম বুবলী ও সজলের নতুন চলচ্চিত্র ‘শাপলা শালুক’ এর শুটিং। সেখানে বুধবার সকালেই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। একদল বন্য হাতি হঠাৎই আক্রমণ করে শুটিং সেটে। এতে আহত হন কয়েকজন কলাকুশলী ও অভিনয়শিল্পী।
সিনেমার পরিচালক ও শুটিং ইউনিটের সদস্যরা জানান, পাহাড়ি পথ ও বনভূমির মধ্য দিয়ে যাতায়াতের সময়ও হাতির উপস্থিতি টের পাওয়া যাচ্ছিল। তবে বুধবার সকালে যেভাবে হাতির দল শুটিং সেটে ঢুকে পড়ে, তাতে আতঙ্ক ছড়ায় পুরো ইউনিটে। দ্রুত ছোটাছুটি করতে গিয়ে আহত হন কয়েকজন।
পরিচালক জানান, “এখানে এসে শুনেছি, প্রায়ই হাতির দল লোকালয়ে চলে আসে। ফসলের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা প্রায় নিয়মিত। শুটিংয়ের সময়ও ঠিক এমনটাই ঘটেছে। আমরা এখন নিরাপত্তার জন্য চারপাশে আলো জ্বালিয়ে শুটিং করছি।”
‘মন চাইলেই কি লাইট–ক্যামেরা–অ্যাকশন?’ প্রশ্ন জয়া আহসানের
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। নিজের ফেসবুক পেইজে ‘গারো পাহাড়ে নতুন সিনেমার শুটিং, বিঘ্ন ঘটাচ্ছে বন্য হাতির দল’ শিরোনামের একটি নিউজ কার্ড শেয়ার করে জয়া লেখেন:
“এই আরেক উপদ্রব বনের ভেতর। বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মন চাইলেই লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন শুরু করা যায়?”
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “মাইকের শব্দ, শুটিং টিমের বর্জ্য, গান-বাজনা, এগুলো কি অ্যালাউ করা ঠিক হবে এমন একটি সেনসিটিভ জায়গায়?”
জয়ার এই স্ট্যাটাস ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই তার উদ্বেগকে সমর্থন জানিয়েছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, “বিঘ্ন ঘটাচ্ছে শুটিং টিম, অথচ দোষ এখন হাতির! বাহ, কী চমৎকার!” আরেকজনের মন্তব্য ছিল, “ওদের বনে গিয়ে শুটিং করবেন, ওদের বাসস্থানে নিজের মতো যা খুশি করবেন, ওরা বিঘ্ন ঘটাবে না?”
শুটিং চলছে ২১ মে থেকে
ছবিটির শুটিং শুরু হয়েছে ২১ মে থেকে। নাম ঠিক না হওয়া এই চলচ্চিত্রের প্রাথমিক নাম ‘শাপলা শালুক’। এটি সজল ও বুবলীর প্রথম যৌথ চলচ্চিত্র। ছবিতে আরও অভিনয় করছেন সুমন আনোয়ার, আয়মান শিমলা, দিলরুবা দোয়েল, রফিকুল রুবেল এবং বাপ্পী।
বনবিভাগের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে পরিবেশবিদ ও স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে একটি বন্যপ্রাণী চলাচলের এলাকায় পূর্ণ ইউনিট নিয়ে শুটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হলো।
