সময়ের জনমাধ্যম

ব্যাটিংয়ে ভরাডুবি, পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে গেছে বাংলাদেশ

পাকিস্তানের বিপক্ষে হার দিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর যাত্রা শুরু হলো টাইগারদের। সাত উইকেটে বড় ব্যবধানে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে সাকিব বাহিনী। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের ব্যাটিংয়ের পুনরাবৃত্তি হয়েছে লাহোরে। শুরুতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৯৩ থমকে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। জবাবে খেলতে নেমে সাত উইকেট ও ৬৩ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

লো-স্কোরিং ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩৫ রানে প্রথম উইকেট হারালেও ব্যাটিংয়ে চাপে পড়েনি পাকিস্তান। ৩১ বলে ২০ রান করে আউট হন বাঁ-হাতি ওপেনার ফখর জামান। এরপর ৭৪ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে পাকিস্তানের। ২২ বলে ১৭ রান করে তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন দলনেতা বাবর আজম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে দারুণ ব্যাট করে যান ওপেনার ইমাম উল হক। এ সময় এই দুই ব্যাটার মিলে গড়েন ৭৫ রানের জুটি। আর তাতেই জয় নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের। ব্যক্তিগত অশর্ধশতক পূরণের পর ৭৮ রানে থামেন ইমাম। চতুর্থ উইকেট জুটিতে আগা সালমানকে সঙ্গে নিয়ে জয় নিশ্চিত করে রিজওয়ান। রিজওয়ান ৬৩ ও ১২ রানে অপরাজিত থাকেন সালমান।

এর আগে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ফখর জামানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় উইকেটে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে ১১ বলে ১৬ রানে ফেরেন লিটন। ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়ও। হারিস রউফের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৯ বলে ২ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

মাত্র ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশের হাল ধরেন দলনেতা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুজন মিলে গড়েন ১০০ রানের জুটি। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর ৫৩ রানে ফাহিম আশরাফের বলে ফখর জামানকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন সাকিব।

এরপর মুশফিক একপ্রান্ত আগলে রাখলেও আসা- যাওয়ার মিছিলে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হয় অন্য ব্যাটাররা। ৩৮ তম ওভারে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে পাঁচ চারে ৬৪ রান করেন মুশফিক। এরপর শামীম ১৬, আফিফ ১২, তাসকিন শূন্য ও শরিফুল ১ রান করে সাজঘরে ফিরেন। আর ১ রানে অপরাজিত থাকেস হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশের ইনিংস থামে মাত্র ১৯৩ রানে।

পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন হারিস রউফ। নাসিম শাহ শিকার করেন তিন উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেটের পান শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ এবং ফাহিম আশরাফ।

324 Comments

leave a reply