সময়ের জনমাধ্যম

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বসবে জরুরি বৈঠক

আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীদের টানা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে, অন্তর্বর্তী সরকার উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডেকেছে।

শনিবার (১০ মে) রাত ৮টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সংবাদ সংস্থা ইউএনবি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত থেকে শুক্রবার (৯ মে) পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গণজমায়েত করা হয়। এরপর বিকেল ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে। তাদের কর্মসূচি আজ শনিবারও চলছে। টানা এই কর্মসূচির মধ্যেই উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হলো।

অন্তর্বর্তী সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ‘এখন পর্যন্ত আমার জানা মতে অন্য কোনো বিষয় নেই। বৈঠকে কেবল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের খসড়া সংশোধনী নিয়ে আলোচনা হবে।’

তবে, গতকাল শুক্রবার সরকার জানিয়েছিল, তারা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক দল, দলের সহযোগী সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক নেতাদের বিচারের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন অবিলম্বে সংশোধন করার পরিকল্পনা করছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং দলের শীর্ষ নেতাদের বিচারের জন্য এই আইন সংশোধন হতে যাচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিকে সরকার গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে।

অন্তর্বর্তী সরকার জানায়, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনও তারা বিবেচনায় রাখছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সরকার আরও জানিয়েছে, জনদাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে ছাত্রলীগকে ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া, মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।