সময়ের জনমাধ্যম

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টাইগারদের ইতিহাস রচনা

কিউদের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি বাংলাদেশ। শান্ত-মিরাজদের জন্য তাই সিরিজের শেষ ম্যাচটি ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ। এই ম্যাচে যে টাইগাররা শুধু হোয়াইটওয়াশ এড়ালো তা-ই নয়। কিউদের রীতিমত উড়িয়ে দিয়ে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।

দীর্ঘ ১৬ বছর আর ১৮ ম্যাচের অপেক্ষার অবসান ঘটেছে আজকের এই জয়ে। ওডিআই ফরমেটে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ। সাকিব, শরিফুলদের বোলিং নৈপুণ্যে প্রথম ইনিংসের পরই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল টাইগাররা। ব্যাটিং ইনিংসে অবিশ্বাস্য কিছু না ঘটলে কিউইদের দেওয়া মামুলি লক্ষ্য তাড়া না করতে পারার কোনও কারণ ছিলনা।

আজকের ম্যাচের আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সাদা বলের ক্রিকেটে তাদের কখনোই হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ৯ উইকেট আর ২০৯ বল হাতে রেখে এই ম্যাচ জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করলো শরিফুল-সাকিবরা। ১৯তম ম্যাচে এসে নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে হারাল বাংলাদেশ।

টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের শরিফুল-সাকিবদের বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ৯৮ রানেই অলআউট হয় কিউইরা। এদিন নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষের ১০টি উইকেটই নিলেন পেসাররা। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড গড়ল নিউজিল্যান্ড। নিজেদের মাটিতে এটি তাদের চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর।

৯৯ বা তার কম রানের লক্ষ্যে এই ম্যাচের আগেও কখনো হারেনি বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচে বেশ দাপট দেখিয়েই জিতেছে টাইগাররা। চোখের সমস্যার কারণে সৌম্য সরকার উঠে যাওয়ার পর শেষদিকে এনামুল হক বিজয় বিদায় নিলেও ৯ উইকেটের দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।

শনিবার নেলসনে বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় শুরু হয় ম্যাচ। শুরুতেই বল হাতে জ্বলে উঠেন শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। ২২ রানের মধ্যেই কিউই ওপেনার রাচীন রবীন্দ্র ও তিনে নামা ব্যাটার হেনরি নিকোলসকে ফিরিয়ে কিউদের চাপে ফেলেন তানজিম হাসান সাকিব। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৩৬ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল কিউইরা। যদিও রান কম দিয়ে আঁটসাট বোলিং করছিলেন শরিফুল-সাকিব। দলীয় ৫৮ রানে লাথাম-ইয়ং জুটি ভাঙার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। সাকিবের আরও এক শিকার এবং শরিফুলের ৩ উইকেট শিকারে ধ্বসে পড়ে কিউই ব্যাটিং লাইনআপ। ৭০ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেটে।

নিউজিল্যান্ডের লেজের ব্যাটারদের ছাঁটাইয়ের কাজটা করেন সৌম্য। দ্রুতই তিনি ৩ উইকেট তুলে নিলে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে কিউইরা। মোস্তাফিজুর রহমান। ২৫ ওভারের আগেই ৯৮ রানে অলআউট ব্ল্যাক ক্যাপসরা।

৯৯ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামলেওবিজয় -সৌম্য খুবই সাবধানী ছিলেন শুরুতে। তবে ১৫ রানের মাথায় চোখে অস্বস্তি অনুভব করায় মাঠ ছাড়েন সৌম্য। এপর অধিনায়ক শান্তকে সাথে নিয় বেশ সাবলীল ব্যাটিংয়ে জয়ের দিকে এগুতে থাকেন বিজয়।

৮৪ রানের মাথায় ও’রর্কের বলে বিজয় ফিরলে ভাঙে ৬৯ রানের জুটি । ৩৩ বলে ৭ চারে ৩৭ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর লিটন দাসকে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন শান্ত। ৪২ বলে ৮ চারে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন টাইগার অধিনায়ক।