সময়ের জনমাধ্যম

তিন সংস্করণেই টাইগার দলপতি সাকিব

গত ৩ আগষ্ট বিসিবি প্রেসিডেন্টের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। কিছুদিন আগেই নিজের ফিটনেস নিয়ে সংবাদ সম্মলনে সংশয় প্রকাশ করে বোর্ড ও কোচের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। যার প্রেক্ষিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের পর অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে তার পর দিনই অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। তবে এবার কোন অভিমান নয়, বাস্তবতা মেনে নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন দেশ সেরা এই ব্যাটসম্যান।

বিশ্বকাপের যখন দুই মাস বাকি তখন যেকোন দলের জন্য অধিনায়ককে হারানোটা একটি বড় ধাক্কা, যার ব্যতিক্রম হয়নি বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও। মধ্যবর্তী সময়ে নতুন অধিনায়ক নিয়ে আলোচনায় এসেছে তিন জনের নাম। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। শেষ পর্যন্ত সেই সাকিবকেই দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়কের দ্বায়িত্ব।

শুক্রবার গুলশানে নিজ বাসভবনে এটি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এ প্রসঙ্গে আজ নাজমুল হাসান বলেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের সাকিবকে অধিনায়ক করা হয়েছে। আগামীকাল বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করা হবে। আপাতত এশিয়া কাপের ১৭ জনের দল দেবেন নির্বাচকেরা। পরবর্তীতে চূড়ান্ত দল নির্ধারণ করা হবে।

এর মধ্য দিয়ে তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের অধিনায়ক হলেন সাকিব আল হাসান। সাকিব ছাড়াও এই আলোচনায় ছিলেন সহ-অধিনায়ক লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো বড় দুটি টুর্নামেন্টের আগে সাকিবের উপরই আস্থা রেখেছে বিসিবি। আর মাঠে সাকিবের টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত নেয়ার পারদর্শীতার কারণে বোর্ডের চাওয়া ছিলো সাকিবই যেন দ্বায়িত্ব নেয়। তবে সব কিছুই নির্ভল করছিলো সাকিবের সিদ্ধান্তের উপর। সেটিই আজ চূড়ান্ত হলো।

এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৪৯টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন সাকিব। যার মধ্যে জয়ে পেয়েছেন ২২টিতে। পরে নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফির মতুর্জার অনুপস্থিতিতে আরো বেশ কিছু ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সব মিলিয়ে অধিনায়ক হিসেবে ১৯ টেস্ট, ৩৯ টি-টোয়েন্টি ও ৫২টি একদিনের ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এবার তিন ফরম্যাটেই দলের দ্বায়িত্ব সাকিব কতটা মুন্সিয়ানার সাথে সামলাবেন সেটিই দেখার অপেক্ষা।