সময়ের জনমাধ্যম

তফসিল প্রত্যাখ্যান করে রাজধানীতে এবি পার্টির মিছিল

নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

এরপরই তা প্রত্যাখ্যান করে মিছিল করেন এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ। রাজধানীর বিজয়নগর অবস্থিত এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনী তফসিল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় সংগঠনটি।

এর আগে, বুধবার বিকেল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। এসময় এবি পার্টি’র আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘প্রহসনমূলক নির্বাচনী তফসিল দেশে অচলাবস্থা ও চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে সংলাপের চিঠি আন্তর্জাতিক মহল দিয়েছে তাকে আমরা সমর্থন জানাই। আমরা আশা করব, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং প্রহসনমূলক নির্বাচন পরিত্যাগ করে সংলাপের মাধ্যমে তারা বর্তমান সংকট উত্তরণের দায়িত্বশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।’

এই সংলাপে বিরোধীদলগুলো যাতে মুক্ত, অবাধ ও কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য বিরোধীদলগুলোর সকল নেতাকর্মীকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে আরেকটি উত্তর কোরিয়া হতে দিতে পারিনা। আমরা সুশাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কারো সাথে নেই, আমরা গণতান্ত্রিক বিশ্বের সাথে আছি যারা আমাদের উন্নয়ন অংশীদার, স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার।’

সংবাদ সম্মেলনে পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেশের মানুষের প্রাণের দাবি। যে দাবিতে আন্দোলন করছে এবি পার্টি, প্রধান বিরোধীসহ দেশের সকল রাজনৈতিক দল।’

তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৮ অক্টোবর আওয়ামীলীগ ও তার সহোযোগী সকল সংগঠন এবং পুলিশ একসাথে হামলা চালিয়ে বিরোধীদল সমুহের সমাবেশ পন্ড করে দেয়।

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, সারাদেশে প্রায় ১৫ হাজারের অধিক বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাবন্দি করা হয়েছে ২৮ অক্টোবরের ঘটনাকে পুঁজি করে।

তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি দল পুলিশী পাহারায় শান্তি সমাবেশের নামে বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপর হামলা চালিয়ে দেশকে সংহিতার পথে ঠেলে দিয়েছে।

একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য চলমান যে আন্দোলন, সংগ্রাম ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি তার প্রতি এবি পার্টির সংহতি ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে লালকার্ড প্রদর্শন ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।