সময়ের জনমাধ্যম

তত্ত্বাবধায়কের ভুত নামিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে বললেন ওবায়দুল কাদের

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভুত মাথা থেকে নামিয়ে নির্বাচনের পথে আসুন না হয় বিএনপির আম-ছালা সব যাবে। আল্লাহ যাকে রাখে তাকে কেউ সরাতে পারে না, শেখ হাসিনার উপর আল্লাহর রহমত রয়েছে মানুষের ভালোবাসা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশ করে দলটি।

সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীতে একটি দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার রয়েছে, সে দেশ পাকিস্তান। তত্বাবধায়ক চাইলে, দলবল নিয়ে ফখরুল সাহেব পাকিস্তানে চলে যান।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি যতদিন বাংলাদেশে থাকবে ততদিন সব অপশক্তি বিএনপি’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করবে। বিএনপি এখনও চেষ্টা করছে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে।

সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা কোথায় নিয়ে গেছে তার প্রমাণ দৃশ্যমান। মির্জা ফখরুল যখন বলে আওয়ামী লীগ নাকি জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করেছে… চক্ষু লজ্জা যাদের নেই তারা এমন মন্তব্য করতে পারে। 

বিএনপি কি ভুলে গেছে ১৫ আগস্টের কথা। রক্তের স্রোতে ভেসে গেছে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবাই। সেদিনের সে রক্তের দাগ বিএনপির হাতে আজও আছে। যোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আদালতের রায়েই খালেদা-তারেক শাস্তি ভোগ করছে এখানে আমাদের কোনও হাত নেই। যাদের রাজপথে থেকে রাজনীতি করার সৎ সাহস নেই তাদেরকে রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করা উচিত।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, মির্জা ফখরুলের ভাব দেখলে মনে হয় ফখরুল ছাড়া আর কোনও রাজনৈতিক নেতা জেল খাটেননি। প্রতিদিনই তাদের এক কথা এক দফা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারেক জিয়া বলছে শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য টাকার অভাব হবে না, এই টাকার উৎস কোথায়?’ প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচিসহ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।