সময়ের জনমাধ্যম

ট্রাম্পের শুল্ক: বিশ্ব সিনেমা বাজারে অশনি সংকেত, হলিউডের ভবিষ্যত কী

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক আকস্মিক ঘোষণায় বিশ্ব চলচ্চিত্র শিল্পে যেন বজ্রপাত হয়েছে। বিদেশি সিনেমার ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে চলচ্চিত্র শিল্পে উদীয়মান দেশগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ট্রাম্পের দাবি, আমেরিকার চলচ্চিত্র শিল্প ‘দ্রুত ধ্বংসের পথে’ এবং এই শিল্পকে বাঁচাতে তিনি এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন।

চলচ্চিত্র গবেষণা সংস্থা প্রডপ্রো’র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র খাতে বিনিয়োগে বড় ধরনের ধস নেমেছে। ২০২৪ সালে এই খাতে বিনিয়োগ কমেছে ২৬ শতাংশ। বিপরীতে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে অনেকেই মার্কিন চলচ্চিত্র শিল্পের শেষ রক্ষা কবজ হিসেবে দেখছেন। তবে ট্রাম্পের এই শুল্ক-বোমা বিশ্ব চলচ্চিত্র বাজারে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।

তবে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কও কম নয়। ট্রাম্পের যুক্তি, বিদেশি স্টুডিওগুলো বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা পাচ্ছে, যা মার্কিন শিল্পের জন্য জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি। এই দাবিকে সামনে রেখে তিনি হলিউডকে বিদেশি প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করতে তিন হলিউড তারকা—জন ভোইট, মেল গিবসন ও সিলভেস্টার স্ট্যালোনকে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

এদিকে, চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ চলচ্চিত্র শিল্পেও প্রভাব ফেলেছে। বেইজিং আমেরিকান সিনেমার আমদানি কোটা কমিয়ে দিয়েছে। চীনের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি দর্শকদের আগ্রহ কমিয়ে দিচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বোচ্চ ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের পাল্টা জবাবে চীনও ১২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসিয়েছে। জুলাইয়ের আগে কিছু শুল্ক স্থগিত থাকলেও চীনের ক্ষেত্রে তা বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও ভবিষ্যতে কিছু শুল্ক কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।