সময়ের জনমাধ্যম

জাবালিয়া থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, তবে যুদ্ধ এখনই শেষ নয়

তিন সপ্তাহের সামরিক অভিযানের পর উত্তর গাজার জাবালিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। এ হামলার ফলে একলাকাটি থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) এই অভিযানে ‘শতশত সন্ত্রাসী’ নির্মূল এবং ১০ কিলোমিটার টানেল ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছে।

জাবালিয়া থেকে পাওয়া ছবিগুলো থেকে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ছবিতে দেখা যায় এলকাটিতে অনেক বহুতল ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে দুই শতাধিক বিমান হামলা চালানোর পর অভিযান সমাপ্ত করেছে ইসরায়েল। এই অভিযানে সাতজন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করা তথ্য জানিয়েছে আইডিএফ।

আইডিএফ কর্মকর্তারা জাবালিয়ার যুদ্ধকে চলমান সংঘাতের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র বলে বর্ণনা করেছেন। সামরিক বাহিনীর মতে, হামাস বেসামরিক এলাকাটিকে একটি সুরক্ষিত রণক্ষেত্রে রূপান্তরিত করেছে। স্কুল এবং অন্যান্য বেসামরিক ভবনগুলোকে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে এবং একটি ভূগর্ভস্থ নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে।

এই অভিযানে রকেট লঞ্চার এবং হামাসের বেশ কয়েকটি অস্ত্র উৎপাদন কারখানা ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে আইডিএফ। তবে এখনই যুদ্ধ বিরতির কোনও আভাস পাওয়া যাচ্ছেনা। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর একজন সহযোগী ইঙ্গিত দিয়েছেন যে বছরের বাকি সময় যুদ্ধ চলতে পারে।

ইসরায়েলের ‘আগ্রাসন, হত্যা, অবরোধ, অনাহার এবং গণহত্যা’ উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার হামাস বর্তমান পরিস্থিতিতে আলোচনায় বসবে না বলে ঘোষণা করার পর নতুন করে যুদ্ধবিরতি আলোচনার সম্ভাবনা আরও কমে গেছে। হামাস বলেছে, ইসরায়েল তার সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করলেই তারা একটি ‘সম্পূর্ণ চুক্তি’ বিবেচনা করবে। বিপরীতে, ইসরায়েল বলছে, হামাসকে ভেঙে ফেলা এবং জিম্মিদের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত তারা অভিযান চালিয়ে যাবে।