সময়ের জনমাধ্যম

গাজায় মানবিক বিপর্যয়, মানতে নারাজ নেতানিয়াহু

গাজার উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়ায় যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলো। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জাবালিয়ার শরণার্থী শিবিরে ‘বড় সংখ্যক সন্ত্রাসীকে’ হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে। অন্যদিকে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে হামাস।

ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ উত্তর গাজার জাবালিয়া এবং দক্ষিণের রাফাহ শহরের আশেপাশে তীব্রতর হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ জাবালিয়া এবং রাফাহ ত্যাগ করছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সৈন্যরা জাবালিয়া ক্যাম্পের কেন্দ্রস্থলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং অবকাঠামোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। গত কয়েকদিন যাবৎ এই এলাকায় আইডিএফ সৈন্যরা কয়েক ডজন সন্ত্রাসী সেলের সাথে তীব্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক সন্ত্রাসীকে নির্মূল করেছে।’

হামাসের সামরিক শাখাও বুধবার জাবালিয়া ক্যাম্পের ভিতরে যুদ্ধের তথ্য জানায়। হামাস বলেছে, ‘আমাদের যোদ্ধারা ট্যাঙ্ক-বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। একটি বুলডোজার, একটি ট্যাঙ্ক এবং একটি বাড়িতে হামলায় কম পক্ষে ১২জন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে।

এদিকে, জাতিসংঘ বলছে, নয় দিন আগে শহরের পূর্ব উপকণ্ঠে ইসরায়েলি স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে উক্ত এলাকায় আশ্রয় নেওয়া সাড়ে চার লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গাজায় সংঘর্ষের ক্রমবর্ধমান অবনতি এবং পর্যাপ্ত সাহায্য পৌঁছানোর ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ এবং মানবিক সংস্থাগুলো।

বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলের হামলার ব্যাপক সমালোচনা সত্ত্বেও গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়টি আবারও অস্বীকার করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘যে মানবিক বিপর্যয়ের কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবায়িত হয়নি, হবেও না।’