সময়ের জনমাধ্যম

সিরিয়ার অস্ত্রভান্ডারে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ব্যাপক প্রাণহানি

সিরিয়া থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কয়েক ঘণ্টা পর দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের এক অস্ত্রভাণ্ডারে হামলা চালিয়েছে ইসলায়েল। এই হামলায় ব্যাপক প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়া। বুধবার বিবিসির খবরে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েল হামলার মাধ্যমে এই অঞ্চলকে অস্থির করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ দাবি করেছেন, ইসরায়েলের ভূখণ্ডে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর জন্য সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে দায়ী করা হবে।

ইসরায়েলের দাবি, মঙ্গলবার সিরিয়া থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র দুটি দেশটির খোলা জায়গায় পড়েছে। তাই এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে সিরিয়ায় ইসরায়েলের চালানো পাল্টা হামলায় কতজন হতাহত হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

সিরিয়ার সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হামলা সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন এবং গোটা অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সিরিয়া কখনও এই অঞ্চলের জন্য হুমকি ছিল না, ভবিষ্যতেও হবে না।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, দক্ষিণ সিরিয়ার কুনেইত্রা ও দারা অঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ওই এলাকা। এলাকাগুলো ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমির সন্নিকটেই। ইসরায়েল ১৯৭৬ সালে সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান দখল করে নেয় এবং সেখানে বসতি সম্প্রসারণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।