দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টার। এখন পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটির।
রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইরানি প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। এতে রাইসির সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতিসহ আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।
![](https://muhurto.news/wp-content/uploads/2024/05/IMG_20240520_005249-1024x662.jpg)
গত শনিবার (১৮ মে) রাইসি আজারবাইজান সফরে যান। সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সাথে একটি বাঁধ উদ্বোধন করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। রোববার (১৯ মে) সেখান থেকেই দেশের উদ্দেশ্যে ফিরছিল রাইসি এবং তাঁর সঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি।
এই দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এক ইরানি কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন,
‘হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা এখনও আশাবাদী। তবে দুর্ঘটনাস্থল থেকে যে তথ্য আসছে সেগুলো খুবই উদ্বেগজনক।’
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদি বলেছেন, ওই এলাকার খারাপ আবহাওয়া এবং কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগবে।
![](https://muhurto.news/wp-content/uploads/2024/05/IMG_20240520_005307-1024x583.jpg)
কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদেনে জানিয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। হেলিকপ্টারে থাকা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি উদ্ধারকারী দল। ঘটনাস্থলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে আটটি অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া ড্রোন দিয়ে ওই এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নিখোঁজ হেলিকপ্টারের সন্ধানে মোতায়েন করা হয়েছে ৪০টি উদ্ধারকারী দল।
ইরানের সংবিধান অনুযায়ী দেশটির প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যু হলে সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ মোখবার।
ইরানের রাজনৈতিক ক্রমানুসারে, রাষ্ট্রের প্রধান হলেন সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি এবং প্রেসিডেন্ট হলেন সরকারের প্রধান। যিনি সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।
যখন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মারা যান, তখন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে দেশে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে।