রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২১ মে) ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে আলোচনা সভা ও সম্মিলিত মেডিটেশনের আয়োজন করে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এবারের আয়োজনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘ভাল মানুষ ভাল দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ।’
অনুষ্ঠানে কোয়ান্টাম মেথডের প্রবর্তক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক অডিও বাণীতে বলেন, ‘ভ্রান্ত জীবনাচারে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি এবং টোটাল ফিটনেসের জন্যে প্রয়োজন মেডিটেশন ও সুস্থ জীবনাচার।’
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. এম মোস্তফা কামাল এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন ড. মোহাম্মদ শহিদুল আলম। বক্তারা প্রত্যাশা করেন, নিয়মিত মেডিটেশন চর্চায় সমমর্মিতার মনোভাব ও সুস্থ সবল কর্মদ্যোমী সুশৃঙ্খল মানবিক এক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।
২০২১ সাল থেকে এই দিবস পালনের মধ্য দিয়ে ধ্যান ও সুস্থ জীবনাচারের বাণী পৌঁছে গেছে সমাজের সচেতন মহলে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০২২ সালে যোগ মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে গ্রহণ করেছে। ২০২৩ সালে শিক্ষা ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অংশে পরিণত হয়েছে মেডিটেশন।
আত্মশক্তির বিকাশ, রোগ নিরাময়, সাফল্য কিংবা প্রশান্তি লাভে মেডিটেশনের গুরুত্ব এখন প্রমাণিত সত্য। প্রশান্তি আর সুখানুভূতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে বর্তমানে প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ নিয়মিত মেডিটেশন করেন। নিয়মিত অনুশীলন মানুষের ভেতরের ইতিবাচক সত্ত্বাকে জাগিয়ে তোলে। নিয়মিত চর্চায় কমে যায় মনের রাগ ক্ষোভ দুঃখ হতাশা কিংবা মানসিক চাপ। নেতিবাচকতা থেকে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায় ইতিবাচকতায়। সমমর্মী হয়ে ওঠে মন। ফলে পারিবারিক পেশাগত সামাজিক সম্পর্কগুলো আরো সুন্দর হয়ে ওঠে।
