সময়ের জনমাধ্যম

সীমানা পরিবর্তন হলো আট সংসদীয় আসনের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের ৮টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন। এই ৮টি বাদে সংসদের ৩০০ আসনের বাকিগুলোতে সীমানায় কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি।

সীমানা পরিবর্তন হওয়া আসনগুলো হলো- পিরোজপুর–১, পিরোজপুর–২, কুমিল্লা-১, কুমিল্লা-২, ফরিদপুর–২, ফরিদপুর-৪ এবং নোয়াখালী–১ ও ২ আসন। এরমধ্যে চারটি আসনের সীমানায় বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে।

পিরোজপুর–১ আসনটি বর্তমানে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত। নতুন সীমানায় এই আসনটিতে থাকছে পিরোজপুর সদর উপজেলা, নাজিরপুর এবং ইন্দুরকানী উপজেলা। পিরোপুর–২ আসনের বর্তমান এলাকায় রয়েছে কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানী উপজেলা। নতুন সীমানায় থাকছে কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদ উপজেলা।

কুমিল্লা-১ আসনে বর্তমানে আছে দাউদকান্দি ও মেঘনা উপজেলা। নতুন সীমানায় এই আসনের মধ্যে পড়বে দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলা। কুমিল্লা-২ আসন এখন হোমনা ও তিতাস উপজেলা নিয়ে, তবে নতুন সীমানায় হোমনা ও মেঘনা উপজেলা থাকবে এই নির্বাচনী আসনে।

ফরিদপুর–২ আসনটি এখন নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা এবং সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। নতুন সীমানায় এই আসন থেকে কৃষ্ণপুর ইউনিয়নকে বাদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কৃষ্ণপুর যুক্ত হচ্ছে ফরিদপুর–৪ আসনের সাথে। বর্তমান সীমানায় ফরিদপুর–৪ আসনের মধ্যে রয়েছে ভাংগা ও চরভদ্রাসন এবং কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ছাড়া সদরপুর উপজেলা। নতুন সীমানায় এই আসনের মধ্যে পড়বে ভাংগা, চরভদ্রাসন, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নসহ সদরপুর উপজেলা।

নোয়াখালী–১ ও ২ আসনের সীমানায় একটি ইউনিয়ন রদবদল করা হয়েছে। নোয়াখালী–১ থেকে বজরা ইউনিয়ন কেটে নোয়াখালী–২ আসনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে  নোয়াখালী–১ আসনটি চাটখিল উপজেলা এবং বারগাঁও, নাটেশ্বর ও অম্বর নগর ইউনিয়ন বাদে সোনাইমুড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত। সীমানা পুনর্নির্ধারণের ফলে এটি হবে চাটখিল উপজেলা এবং বারগাঁও, নাটেশ্বর, অম্বর নগর ও বজরা ইউনিয়ন বাদে সোনাইমুড়ী উপজেলা নিয়ে।

অন্যদিকে, এখন নোয়াখালী–২ আসনের মধ্যে সেনবাগ উপজেলা এবং সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও, নাটেশ্বর ও অম্বর নগর রয়েছে। নতুন সীমানায় এই আসনের মধ্যে থাকবে সেনবাগ উপজেলা ও সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও, নাটেশ্বর, অম্বরনগর ও বজরা ইউনিয়ন।

গত ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে তা খসড়া আকারে প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তবে খসড়ায় আসনগুলোর বর্তমান সীমানা বহাল রাখা হয়েছিল। পরে নতুন প্রশাসনিক এলাকা (উপজেলা, ওয়ার্ড) গঠন হওয়ায় শুধু ছয়টি সংসদীয় আসনে পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে এতে কোনও আসনের বর্তমান সীমানার পরিবর্তন হয়নি। শুধু নতুন প্রশাসনিক এলাকার নাম যুক্ত হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের খসড়ার ওপর স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি–আপত্তি জানানোর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেসব দাবি–আপত্তি নিয়ে শুনানি শেষে নতুন সীমানা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১ জুন প্রজ্ঞাপনে সই করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। প্রজ্ঞাপনটি শনিবার নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।