সময়ের জনমাধ্যম

যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ফুটবল উন্নতির পথে: লিওনেল মেসি

কিছুদিন আগেও যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখা যেতো না। তবে সেই মেজর লিগ সকার নিয়ে ফুটবল প্রেমীদের আগ্রহের মাত্রা এমএলএসের ইতিহাসে যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি, তা তো নিশ্চিত অর্থেই বলা যায়। আর সেটি যে আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেয়ার কারণে সেটি না উল্লেখ করলেও চলে। এমন নয় যে মেসিই প্রথম কোন বড় তারকা, যিনি লিগটিতে খেলছেন। মেসির অনেক আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে খেলেছেন পেলে-ডেভিড ব্যাকহাম-জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ-থিয়েরি অরিঁর মতো তারকারা। যারা প্রত্যেকেই নিজেদের সময়ে ছিলেন সেরাদের কাতারে। তবে মেসির আগমন ভিন্ন দিনের আগমন ঘটিয়েছে মেজর লিগ সকারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ফুটবল ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর মতো না হলেও সেখান থেকে খুব বেশি দূরেও নয় বলে মনে করেন লিওনেল মেসি। গত মাসে ইন্টার মায়ামিতে নাম লেখানো আর্জেন্টাইন তারকার এই ধারণার কারণ দেশটির নাম যুক্তরাষ্ট্র এবং সেখানকার ফুটবল কাঠামো। আগামী বছর কোপা আমেরিকা এবং ২০২৬ সালে বিশ্বকাপ হবে যুক্তরাষ্ট্রে, এটিও দেশটির ফুটবলে উন্নতির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন মেসি।

ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। তবে এখনো মেজর লিগ সকারে অভিষেক হয়নি মেসির। সে জন্য মেসি ভক্তদের অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৭ আগষ্ট পর্যন্ত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর ক্লাবগুলোকে নিয়ে আয়োজিত লিগস কাপে মেসির পারফর্ম্যান্স বদলে দিয়েছে দেশটির ফুটবলের উন্মাদনা। মায়ামিও পৌঁছে গেছে প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে। দলকে ফাইনালে উঠানোর পথে মেসি গোল করেছেন ৯টি, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরো একটি গোল।

আগামী রোববার নাশভিলের বিপক্ষে প্রতিযোগিতার ফাইনালের আগে প্রথমবারের মতো সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মেসি। সেখানে এমএলএসের মান, লিগটির সুযোগ-সম্ভাবনা ও মায়ামিতে নিজের মানিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।
মেসির মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ফুটবল উন্নতির পথে। এর জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানও আছে, ‘এখানে ফুটবল এগিয়ে যাওয়ার সব সম্ভাবনাই আছে। এই উন্নতি অনেকাংশে লিগের ওপর নির্ভর করছে। এখনই সেই সময়। সামনে এ দেশে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতাও আছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলের প্রতিদ্বন্দ্বীতা নিয়ে মেসি বলেন,‘লিগস কাপে দেখা গেছে ম্যাচগুলো খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হচ্ছে। যেকোনো দল যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। আমার মনে হচ্ছে, এমএলএসেও ব্যাপারটা একই।’ তবে এমএলসে অবস্থান মোটেও সুখকর নয় ইন্টার মায়ামির। ২২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১৫ দলের মধ্যে সবার শেষে থেকে গত মৌসুম শেষ করেছে মায়ামি। ২৭ আগস্ট নিউইয়র্ক রেড বুলসের বিপক্ষে ম্যাচটি থেকে ইন্টারের ভাগ্য বদলাতে মেসির উপরই ভরসা করবে মায়ামি। তর্ক সাপেক্ষে শতাব্দীর সেরা এই ফুটবলারের আগমনে বদলে গেছে ইন্টার মায়ামির ফুটবলাররাও। এই ধারা ধরে রেখে আসন্ন মৌসুমে তাই ভাল কিছুর প্রত্যাশা করতেই পারেন মায়ামির সমর্থকেরা।

339 Comments

leave a reply