সময়ের জনমাধ্যম

বাংলার মাটিতে বিদেশিদের কোনও খেলা চলবে না: ওবায়দুল কাদের

ড. ইউনূস ইস্যুকে সামনে রেখে বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ভন্ডুল করতে দেশি-বিদেশি একটি চক্র নতুন খেলা শুরু করেছে। বাংলার মাটিতে এ অশুভ খেলা খেলতে দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার সচিবালয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন ওয়ান ইলেভেনের মতো ড. ইউনুসের নেতৃত্বে নতুন সরকারের দুঃস্বপ্ন দেখছে। যিনি কখনো দেশের সুখ-দুঃখে এগিয়ে আসেন না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলরা আন্দোলন করে গোলাপবাগের গরুর হাটে হোঁচট খেয়েছেন। আন্দোলন এখন আর জমে না। বাজারে ভাটা পড়েছে। এ অবস্থায় ড. ইউনূসকে নিয়ে আবার নতুন খেলা শুরু করেছে তারা। বিএনপি ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে। আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে হটাতে পারলো না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনূস ওয়ান-ইলেভেনে কম চেষ্টা করেননি। তখনো তার খায়েশ ছিল, সেই খায়েশ পূর্ণ হয়নি। বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বের অনেক মোড়লের অনেক স্বপ্ন রয়েছে। যারা ইউনূসের মামলা স্থগিত করতে বলেন, মামলা কীভাবে স্থগিত হবে? মামলার কাগজপত্র, দলিল-দস্তাবেজ ঠিক আছে কি না, দেখুন। হাওয়ায় একটি বিবৃতি ছেড়ে দিলেন। আবার এরসঙ্গে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করতে চান। বাংলাদেশে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ভন্ডুল করতে নতুন প্ল্যাটফর্ম করতে চান। পরিষ্কার বলতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে এই অশুভ খেলা আমরা খেলতে দেব না।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ভয়াবহ করোনায় সময়ও তিনি কোনও কথা বলেননি। আমাদের দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে যায়, ড. ইউনূস কথা বলেননি। যে মানুষ আমার সুখে-দুঃখে নেই, সেই মানুষটির জন্য আমাদের এত মায়াকান্না কেন ?

তিনি বলেন, নোবেল পেয়ে কোনও অপরাধ করেও অব্যাহতি পেয়ে যাবেন, এটা কোনও দেশের আইনে আছে? শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেন যিনি, তার মতো নোবেল বিজয়ী শ্রেষ্ঠ সন্তানের আমাদের প্রয়োজন কী? নোবেল বিজয়ীরা যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেই বিবৃতির স্পেস কিনতে দুই মিলিয়ন ডলার লাগে, এই অর্থ কোথা থেকে এলো? প্রশ্ন তুলেন ওবায়দুল কাদের।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ও সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতির যৌথ এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব, সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

পরে ৭৫ এ ১৫ আগস্টে শাহাদাৎবরণকারী বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সকল সদস্যের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।