নারী অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্ভাবনের পথে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো শি-স্টেম এবং ওয়ালটন গ্রুপ। শনিবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল আমারিতে এক অনষ্ঠানে দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে পড়াশোনা করা ১২০ জন নারী শিক্ষার্থীর জন্য শিল্পক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন।

দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি সংস্থা ‘ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’-তে এই শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জ্ঞানের সাথে শিল্পখাতের বাস্তব অভিজ্ঞতা যুক্ত হবে। এই প্রকল্পটি লাইটক্যাসেল পার্টনার্স এর নেতৃত্বে পরিচালিত একটি কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে সহযোগী হিসেবে আছে টেন মিনিট স্কুল, এ টু আই, ডেভলার্ন কনসাল্টিং এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ। দেশের অন্যতম আধুনিক গবেষণা ও উদ্ভাবনী অবকাঠামোর সহায়তায়, ওয়ালটন গ্রুপ এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন মাইক্রো-টেক কর্পোরেশনের প্রধান কার্যনিবাহী এবং ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক নিশাত তাসনিম সুচি, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির নির্বাহী পরিচালক (মানবসম্পদ) কাওসার উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের উপ-প্রধান থাইস উডস্ট্রা, দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা (এসআরএইচআর ও জেন্ডার) মাশফিকা জামান সাটিয়ারসহ কনসোর্টিয়ামের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
তারা সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন খাতের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন মাইক্রো-টেক কর্পোরেশনের প্রধান কার্যনিবাহী এবং ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক নিশাত তাসনিম সুচি বলেন, নারীদের স্টেম এ সম্পৃক্ত করা শুধু সযোগ দেওয়া নয়, তাদের পথ তৈরি করে দেওয়া। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা শিক্ষা ও শিল্প জগতের মাঝে সংযোগ আরও মজবুত করছি, যাতে নারীরা গবেষণা ও উদ্ভাবনের অগ্রভাগে পৗঁছাতে পারেন।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির নির্বাহী পরিচালক (মানবসম্পদ) কাওসার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শি-স্টেম এর সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ, যা বাংলাদেশের স্টেম ও প্রযুক্তি খাতে নারীদের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিভা বিকাশকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করছে। শিক্ষা ও শিল্পখাতের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতমুখী, দক্ষ ও বৈচিত্রপূর্ণ কর্মশক্তি তৈরিতে ভূমিকা রাখছি।’

লাইটক্যাসেল পার্টনার্স এর সিইও বিজন ইসলাম বলেন, ‘গঠনমূলক পরিবর্তন আসে কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে। ওয়ালটনের সঙ্গে এই যৗথ উদ্যোগ শুধু ভবিষ্যতের প্রতিভা তৈরিতে সহায়তা করবে না বরং এটি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, কীভাবে শিল্প, শিক্ষাঙ্গন ও উন্নয়ন অংশীজনেরা একসঙ্গে কাজ করে জাতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারে।’
বাংলাদেশে স্টেম শিক্ষার্থীদের ২১ শতাংশ নারী হলেও, মাত্র এক শতাংশেরও কম নারী এই খাতে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য হলো দক্ষতা উন্নয়ন, পরামর্শদান এবং বাজারউপযোগী বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নারী প্রকৌশলীদের ক্যারিয়ারের বাধাগুলো দূর করা।