সময়ের জনমাধ্যম

তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করলেন বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ

সদ্য নিবন্ধন পাওয়া রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে কয়েকজন সাবেক নেতা তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেছেন।

বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দলটিতে যোগদান করা নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও আইনজীবীও।

অনুষ্ঠানে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপি অংশ নিবে বলে জানিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি, ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রার্থী দিতে পারবো। আমরা জ্বালাও-পোড়াও, আগুন সন্ত্রাসে বিশ্বাসী নই।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘গত ১৯ সেপ্টেম্বর আমাদের জাতীয় কাউন্সিল হয়, আজ ৮ নভেম্বর অসংখ্য নেতাকর্মী তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেছেন। এটি প্রমাণ করে বাংলার মানুষ নতুন ধরনের রাজনীতি দেখতে চায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আজ শ্রমিকরা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। সামনে নির্বাচন আসছে, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। আমরা আশা করি, নির্বাচন কমিশন তার ক্ষমতা যথাযথ প্রয়োগ করে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে। জনগণ ভোট দেবে। আমরা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। সেটা লগি-বৈঠা দিয়ে হত্যা হোক, কিংবা পেট্রোল বোমা দিয়ে হত্যা হোক।’

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমি আপনাদের কমিটমেন্ট করতে চাই যে, দলের প্রত্যেক সদস্য হবে এই দলের নেতা এবং তৃণমূল বিএনপির কাছে আসতে হবে না। তৃণমূল বিএনপি যাবে তৃণমূলের কাছে। দলীয় কমিটিসহ সবকিছু কেন্দ্রভিত্তিক হবে না।’

পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের নামে গাড়ি পোড়ানোর মামলা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেকে আছে গাড়ি পোড়াতে জানে না। পুলিশ ঢালাওভাবে মামলা দিয়ে দেয়। এই ব্যাপারে আমরা সরকারপ্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু যারা দল (তৃণমূল বিএনপি) করছে, তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা না নেওয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলতে চাই, তৃণমূল বিএনপি কোনও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হবে না। এটা হবে জনগণের দল, জনবান্ধন দল। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই, তৃণমূল বিএনপি হবে বাংলাদেশের তৃণমূল কংগ্রেস।’

তৃণমূল বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যারা যোগদান করলেন, তারা হলেন- ড. সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাহবুব হাসান তুষার, শরিফুজ্জামান খান মহব্বত, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কর্নেল সাব্বির আহমেদ, মো. শহিদুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন পার্টির মহাসচিব মাইনুদ্দিন, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, সাজিদ খান, আবু রায়হান, এলডিপি নেতা লষ্কর হারুনুর রশিদ।