সময়ের জনমাধ্যম

তীরে তরী ডুবল আফগানদের, সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা

সুপার ফোরে যাওয়া হলো না আফগানদের। উত্তেজনায়ভরা ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে মাত্র দুই রানে হেরেছে রশীদ খানরা। এই জয় দিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) লঙ্কানদের বিপক্ষে শুধু জিতলেই হতো না, রানরেটের জটিল সমীকরণের মারপ্যাঁচও ছিল আফগানদের সামনে। লঙ্কানদের দেয়া ২৯২ রানের লক্ষ্যে দুর্বার গতিতে এগিয়েও চলছিল আফগানরা। কিন্তু তীরে গিয়ে ডুবে গেল আফগান তরী। ফলে বি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার ফোরে উঠলো শ্রীলঙ্কা। এই গ্রুপে দ্বিতীয় দল হিসেবে আগেই সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে টাইগার বাহিনী।

আজকের ম্যাচে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার। আফগানিস্তানের দুই বোলার মুজিব উর রহমান, ফজল হক ফারুকি কাউকেই ছাড় দেননি তারা। এরপর আফগান শিবিরে স্বস্তি এনে দেন নাইব। ম্যাচের ১১তম ওভারে নাইবের বলে মোহাম্মদ নবির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাঁহাতি ব্যাটার করুনারত্নে। ছয়টি চারে ৩৫ বলে ৩২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকেও অর্ধশতক করার আগেই সাজঘরে ফেরত পাঠান নাইব। দলীয় ৮০ রানের মাথায় নাইবের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে নাজিবুল্লাহ জাদরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৪১ রান করে মাঠ ছাড়েন নিশাঙ্কা। এরপর ক্রিজে আসেন আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো ব্যাটার সাদেরা সামারাবিক্রমা। তাকেও প্যাভিলিয়নে পাঠান নাইব। তিন রান করা সামারাবিক্রমা উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন।

এরপর চারিথ আসালাঙ্কাকে সাথে নিয়ে ১০২ রানের জুটি গড়েন কুশল মেন্ডিস। দলীয় ১৮৮ রানে ৪৩ বলে ৩৬ রান করে আসালাঙ্কা ফিরে গেলেও ফিফটি তুলে নেন কুশল মেন্ডিস। এরপর ক্রিজে আসা ধানাঞ্জায়া ডি সিলভাকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মেন্ডিস। তবে দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন মেন্ডিস। ৮৪ বলে ৯২ রান করে আউট হন তিনি।

এরপর দুনিথ ওয়েলালাগে ও মাহিশ থিকসানা মিলে লঙ্কানদের রানের চাকা সচল রাখেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে আট উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন গুলবাদিন নাইব। এছাড়াও রশিদ খান দুটি এবং মুজিব পেয়েছেন এক উইকেট।

২৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৫০ রানেই তিন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান। রহমত শাহ কিছুটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেও টিকতে পারেননি। দলীয় ১২১ রানে ব্যক্তিগত ৪৫ রান করে আউট হন তিনি। তবে এরপর আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি এবং মোহাম্মদ নবির আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে জয়ের বন্দরে এগিয়ে যেতে থাকে আফগানরা।

কিন্তু নবি ব্যক্তিগত ৬৫ রান এবং শহিদি ৫৯ রান করে আউট হলে আফগানদের জয়ের আশায় ভাটা পড়ে। তবে করিম জানাত, নাজিবউল্লাহ জাদরান এবং রশিদ খানরা শেষের দিকে চেষ্টা করলেও ৩৭.১ ওভারের মধ্যে ২৯১ টপকাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২৮৯ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নিয়েছেন পেসার কাসুন রাজিথা। এছাড়াও দুনিথ ওয়েলালাগে ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা দুটি, মাহিশ থিকশানা ও মাথিশা পাথিরানা পেয়েছেন একটি করে উইকেট।