নেইমার ও ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে ছাড়াই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলবে ব্রাজিল


বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ দুই ম্যাচে নেইমার ও ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে ছাড়াই খেলবে ব্রাজিল। তবে দীর্ঘদিন পর আবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন মিডফিল্ডার লুকাস পাকুয়েতা।
গেল প্রায় দুই বছর যাবৎ নেইমার ব্রাজিলের জার্সি গায়ে তোলেননি। ইনজুরির কারণে বারবার ছিটকে পড়েছেন। জানুয়ারিতে সান্তোসে ফেরার পরও সমস্যায় ভুগছেন। কোচ কার্লো আনচেলত্তি জানিয়েছেন, ‘গত সপ্তাহে নেইমারের একটি ছোট সমস্যা হয়েছিল।’
তবে বিস্তারিত না জানালেও ব্রাজিলীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, অনুশীলনের সময় উরুর অস্বস্তিতে ভুগছিলেন নেইমার। যদিও তার না থাকার বিষয়টি বড় করে দেখছেন না আনচেলত্তি। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠেয় আগামী বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে।
আনচেলত্তির ভাষায়, ‘নেইমারকে পরীক্ষা করার দরকার নেই। সবাই তাকে চেনে। আমাদের দরকার সে যেন সুস্থ অবস্থায় বিশ্বকাপে আসে।’
গত মার্চে দরিভাল জুনিয়র ব্রাজিলের দায়িত্বে থাকাকালে নেইমারকে ডাকা হলেও ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি নেইমার।
আনচেলত্তির অধীনে জুনে প্রথম দুটি ম্যাচে ব্রাজিল ইকুয়েডরের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে এবং প্যারাগুয়েকে ১-০ গোলে হারায়। সেই জয়ের নায়ক ছিলেন ভিনিসিয়ুস। তবে এবার তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। কারণ ৫ সেপ্টেম্বর চিলির বিপক্ষে ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকবেন তিনি, আর ৯ সেপ্টেম্বর বলিভিয়ার উচ্চভূমির ম্যাচে ঝুঁকি এড়াতে তাকে পুরো ক্যাম্প থেকেই বাদ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, প্রিমিয়ার লিগের স্বাধীন কমিশন তাকে ‘বেটিং কেলেঙ্কারি’ অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার পর নভেম্বর ২০২৪-এর পর প্রথমবারের মতো ডাক পেলেন ব্রাজিল দলে।
সেই সাথে ফিরেছেন চেলসির নতুন তারকা জোয়াও পেদ্রো। জুলাইয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে দারুণ খেলেন তিনি, সেমিফাইনালে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে জোড়া গোল করে দলকে ফাইনালে তোলেন এবং ফাইনালে পিএসজির বিপক্ষে ৩-০ জয়ে করেন তৃতীয় গোল।
ব্রাজিল দল
গোলরক্ষক: আলিসন (লিভারপুল/ইংল্যান্ড), বেন্তো (আল-নাসর/সৌদি আরব), হুগো সুজা (করিন্থিয়ান্স)
রক্ষণভাগ: আলেক্সসান্দ্রো (লিল/ফ্রান্স), আলেক্স সান্দ্রো (ফ্ল্যামেঙ্গো), কাইও হেনরিক (মোনাকো/ফ্রান্স), দগলাস সান্তোস (জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ/রাশিয়া), ফ্যাব্রিসিও ব্রুনো (ক্রুজেইরো), গ্যাব্রিয়েল মাগালহায়েস (আর্সেনাল/ইংল্যান্ড), মার্কিনিয়োস (পিএসজি/ফ্রান্স), ভ্যান্ডারসন (মোনাকো/ফ্রান্স), ওয়েসলি (রোমা/ইতালি)
মাঝমাঠ: আন্দ্রে সান্তোস (চেলসি/ইংল্যান্ড), ব্রুনো গিমারাইস (নিউক্যাসল/ইংল্যান্ড), ক্যাসেমিরো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড/ইংল্যান্ড), জোয়েলিন্তন (নিউক্যাসল/ইংল্যান্ড), লুকাস পাকুয়েতা (ওয়েস্ট হ্যাম/ইংল্যান্ড)
আক্রমণভাগ: এস্তেভাও (চেলসি/ইংল্যান্ড), গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলি (আর্সেনাল/ইংল্যান্ড), জোয়াও পেদ্রো (চেলসি/ইংল্যান্ড), কাইও জর্জ (ক্রুজেইরো), লুইস হেনরিক (জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ/রাশিয়া), মাতেউস কুনিয়া (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড/ইংল্যান্ড), রাফিনিয়া (বার্সেলোনা/স্পেন), রিচার্লিসন (টটেনহ্যাম/ইংল্যান্ড)।