ন্যূনতম চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে গাজায়


ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। সেখানে ত্রাণবাহী ট্রাকের অভাবে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা।
গাজায় দৈনিক অন্তত ১ হাজার ট্রাক ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন হলেও, সেখানে দিনে মাত্র ১০০টির মতো ট্রাক প্রবেশ করছে। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল আল-জাজিরাকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই সীমিত সংখ্যক ট্রাকের বেশিরভাগই ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাচ্ছে, যার কারণে সাধারণ বাসিন্দাদের কাছে তা পৌঁছাচ্ছে না’।
ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গত ২২ মাসেরও বেশি সময় ধরে এই সংকট চলছে। মে মাসের শেষ দিক থেকে সীমিত পরিসরে ত্রাণ প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এছাড়া, গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) এর কার্যক্রম নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মুনির আল-বুরশ জানান, ইসরায়েল উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিশু ও নারীদের অনাহারে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গাজায় ১ বছরের কম বয়সী ৪০ হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। খাবার সংকটের কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সী আড়াই লাখ শিশুর জীবন হুমকির মুখে এবং ১৮ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ লাখ শিশু চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, চলমান সংঘাত শুরুর পর থেকে অনাহারে ২৫১ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ২৭ মে থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ১ হাজার ৭৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজায় ত্রাণ সরবরাহকারী শতাধিক সংস্থা অভিযোগ করে বলেছে, তারা ত্রাণসামগ্রী উপত্যকাটিতে প্রবেশ করাতে পারছে না। ফ্রান্সভিত্তিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের (এমএসএফ) কর্মকর্তা নাতাশা দাভিয়েস বলেন, ‘গাজা সীমান্তে ত্রাণ আটকা পড়ে আছে। তবে সেগুলো প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা মাত্র কয়েকটি ট্রাক প্রবেশ করাতে পেরেছি। এটি সাগরে এক ফোঁটা পানির মতো।’