ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে ঝটিকা সফরে জার্মানিতে জেলেনস্কি


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের আগে ঝটিকা সফরে জার্মানি গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বুধবার বার্লিন পৌঁছেন জেলেনস্কি। এরপর তিনি জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্জের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
আলাস্কায় শুক্রবার ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে মের্জের সঙ্গে জেলেনস্কির দেখা করা বিশেষ ইঙ্গিত বহন করছে।
এর আগে জেলেনস্কি বলেছিলেন, আলাস্কার বৈঠকের আগে তিনি ট্রাম্প এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি আলোচনা করবেন। কারণ, শুক্রবার ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, জার্মানির সময় দুপুর ২টায় জার্মান চ্যান্সেলর মের্জকে সঙ্গে নিয়ে জেলেনস্কি ট্রাম্প এবং ইউরোপীয় অন্যান্য নেতার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন। এতে সেখানে ন্যাটোপ্রধান মার্ক রুট্টিও যুক্ত ছিলেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার জেলেনস্কি সাংবাদিকদের স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চল ছেড়ে দিতে রাশিয়ার যে কোনো প্রস্তাব কিয়েভ প্রত্যাখ্যান করবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এ ধরনের ছাড় ভবিষ্যতে নতুন করে রুশ হামলার পথ খুলে দিতে পারে।
এর আগে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতির প্রশ্নে রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য শান্তিচুক্তিতে ইউক্রেনের কিছু ভূখণ্ড বিনিময়ের প্রস্তাব থাকতে পারে। রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের প্রায় ২০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
এএফপি জানায়, মস্কো দাবি করেছে, তাদের সেনারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডোব্রোপিলিয়ার কাছে আকস্মিক হামলা চালিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে ১০ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব এলাকায় হামলায় জড়িতদের কিয়েভ ধ্বংস করে দেবে। আসলে রাশিয়ার উদ্দেশ্য হলো ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের বৈঠকের আগে এমন বার্তা ছড়ানো যে, যুদ্ধে রাশিয়া এগিয়ে যাচ্ছে আর ইউক্রেন হারছে।
মস্কো জাপোরিঝিয়া, পকরোভস্ক ও নভোপাভলভ এলাকায় নতুন অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিনঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াই জিতেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখন এমনভাবে কথা বলছি, যেন যুদ্ধ এখনও চলছে। আসলে তা নয়। ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধে হেরেছে আর রাশিয়া জয়ী হয়েছে।