চট্টগ্রাম বন্দরে ব্রাজিল থেকে আনা কনটেইনারে তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি


চট্টগ্রাম বন্দরে ব্রাজিল থেকে আনা ধাতব স্ক্র্যাপের একটি কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কনটেইনারটির ছাড়পত্র না দিয়ে পরীক্ষার জন্য আলাদা করে রেখেছে।
গত বুধবার বন্দরের ৪ নম্বর গেইট দিয়ে কনটেইনারটি ছাড় করানোর সময় মেগাপোর্টস ইনিশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকশন সিস্টেমে তেজস্ক্রিয়তা ধরা পড়ে।
কাস্টমসের নথি থেকে জানা গেছে, ঢাকার আল আকসা স্টিল মিলস লিমিটেড এই চালানটি আমদানি করেছে। এটি গত ৩ আগস্ট এমভি মাউন্ট ক্যামেরন জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়। ওই চালানে ১৩৫ টন ধাতব স্ক্র্যাপের পাঁচটি কনটেইনার ছিল। এগুলো কোম্পানিটির ডেমরা কারখানার জন্য আমদানি করা হয়েছে বলে কাস্টমসের নথিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রাথমিক ও দ্বিতীয় পর্যায়ের স্ক্রিনিংয়ের পর কনটেইনারের ভেতরে থোরিয়াম-২৩২, রেডিয়াম-২২৬ এবং ইরিডিয়াম-১৯২ এই তিন ধরনের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের উপস্থিতি প্রমাণ মিলেছে। প্রাথমিকভাবে এক মাইক্রোসিভার্ট মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, এটি তুলনামূলকভাবে কম মাত্রার তেজস্ক্রিয়।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কনটেইনারের স্ক্র্যাপ ও দেওয়ালের কারণে প্রকৃত মাত্রা আরও বেশি হতে পারে। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মারুফুর রহমান জানিয়েছেন, ‘কনটেইনারটি নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে জানানো হয়েছে। তাদের বিশেষজ্ঞরা সাইটে পরিদর্শন করবেন, এরপর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে প্রথম তেজস্ক্রিয় পদার্থ ধরা পড়ে। তখন ভারতের উদ্দেশ্যে পাঠানো স্টেইনলেস স্টিলের স্ক্র্যাপ কলম্বোতে আটকানো হয়। পরে এটি চট্টগ্রামে ফেরত আনা হয় এবং চার দেশের বিজ্ঞানীরা মিলে এর ভেতর থেকে রেডিয়াম-বেরিলিয়াম উৎস অপসারণ করেন।