নর্দার্ন সুপারচার্জার্সে দুই পাকিস্তানি: ক্রিকেট কূটনীতিতে নতুন দিগন্ত?


ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক টানাপোড়েন পুরোনো গল্প। বিশেষ করে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘদিনের। তবে এবার দ্য হান্ড্রেড লিগে দুই পাকিস্তানি তারকা মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিমের অন্তর্ভুক্তি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই ঘটনা ক্রিকেট কূটনীতিতে কি নতুন কোনো সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে?
দ্য হান্ড্রেডের আটটি দলের মধ্যে চারটি দলের মালিকানা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের হাতে। এর মধ্যে নর্দার্ন সুপারচার্জার্সের নতুন মালিক ভারতীয় মিডিয়া সংস্থা ‘দ্য সান গ্রুপ’, যারা আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদেরও মালিক। দ্য হান্ড্রেডের প্লেয়ার ড্রাফটে কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে না নেওয়ায় অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন যে ভারতীয় মালিকরা হয়তো পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের দলে চান না। এই আশঙ্কার পেছনে ছিল ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্কের দীর্ঘ ছায়া।
কিন্তু ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) শুরু থেকেই এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছিল। ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, ‘আমরা জানি অন্য কোথাও এমন নিষেধাজ্ঞা আছে, কিন্তু এখানে তা ঘটবে না।’ এবার মোহাম্মদ আমির এবং ইমাদ ওয়াসিমের নর্দার্ন সুপারচার্জার্স দলে যোগদানের মধ্য দিয়ে ইসিবির সেই কথারই সত্যতা প্রমাণিত হলো।
মোহাম্মদ আমির এবং ইমাদ ওয়াসিমকে নর্দার্ন সুপারচার্জার্স দলে যুক্ত করা হয়েছে। তারা বেন ডওয়ারশুইস ও মিচেল স্যান্টনারের পরিবর্তে খেলবেন, যারা আন্তর্জাতিক সূচির কারণে পুরো মৌসুম খেলতে পারবেন না। আমির ও ইমাদের এই অন্তর্ভুক্তি কেবল নতুন মালিকদের অধীনে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের খেলার পথই উন্মুক্ত করেনি, বরং ক্রিকেটকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার একটি ইতিবাচক বার্তাও দিয়েছে।
এর আগে মার্চে অনুষ্ঠিত প্লেয়ার ড্রাফটে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে তাদের ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচি এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দলীয় সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহের মতো তারকাদের খেলতে না পারার কারণেও অনেকে ড্রাফটে ছিলেন না। তবে আমির ও ইমাদের যুক্ত হওয়া প্রমাণ করে যে, সুযোগ পেলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো বাধা নেই।