ফুলহ্যামের তরুণ তারকা ফারহান আলী, বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন আশার আলো


ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণ ফুটবলার ফারহান আলী, যিনি ইংলিশ ক্লাব ফুলহ্যামের হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন, তাকে বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য এক নতুন সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমীরা। ফারহানের অসাধারণ পারফরম্যান্স এবং তার বাংলাদেশের প্রতি নিবেদন এদেশের ফুটবল ভক্তদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
১৮ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান উইঙ্গার সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, তার প্রধান লক্ষ্য এখন ফুলহ্যামের সিনিয়র দলে জায়গা করে নেওয়া। আর তার এই লক্ষ্য পূরণ হলেই তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার ব্যাপারে মনোযোগী হবেন, বলে জানিয়েছেন তার বাবা আব্দুল ওয়াহিদ।
ফারহান আলী ওয়াহিদ ১২ বছর বয়সে চেলসি ছেড়ে ফুলহ্যামে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি ক্লাবের অনূর্ধ্ব-১৮ ও অনূর্ধ্ব-২১ দলের নিয়মিত খেলোয়াড়। তার অসাধারণ গতি, প্রতিপক্ষকে ড্রিবল করে কাটিয়ে যাওয়ার দক্ষতা এবং গোল করার ক্ষমতা তাকে ক্লাবের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তারকার তকমা দিয়েছে।
গত মৌসুমে অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে ১৭ ম্যাচে ৭টি গোল করে তিনি প্রতিভার প্রমাণ রেখেছেন। এছাড়াও, প্রিমিয়ার লিগ ইন্টারন্যাশনাল কাপে অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচেই গোল করার বিরল কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ফলস্বরূপ, সম্প্রতি ফুলহ্যামের সাথে তার প্রথম পেশাদার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি তার ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। চুক্তি স্বাক্ষর করে ফারহান বলেন, ‘ফুটবল খেলা শুরু করার পর থেকে আমি এই মুহূর্তটার জন্যই কাজ করছিলাম।’ এসময় তিনি তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তার এই স্বপ্ন পূরণের জন্য পরিবার ‘অনেক ত্যাগ স্বীকার’ করেছে।
ফারহানের বাবা আব্দুল ওয়াহিদের কথায় স্পষ্ট যে, এই মুহূর্তে ফারহানের প্রধান লক্ষ্য হলো ইংল্যান্ডের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। তবে, তার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে এক রোমাঞ্চকর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইউরোপের শীর্ষ লিগের প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন তরুন খেলোয়াড় যদি জাতীয় দলে খেলেন, তবে তা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য বড় পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।
বাংলাদেশের মতো দলগুলোর জন্য বিদেশে থাকা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের নিজেদের দলে ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। ভক্তরা আশা করছেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নিঃসন্দেহে ফারহানের অগ্রগতির দিকে সতর্ক নজর রাখবে, ভবিষ্যতে কোনো এক সময় তিনি বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামবেন এই আশায়।