সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। ফলে শেষ টি-টোয়েন্টিই নির্ধারণ হবে সিরিজ। আজ কলম্বোর রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে যে দল জিতবে, সিরিজও জিতবে তারাই। এমন ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার ওপর চাপটা স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি। তবে বাংলাদেশেও একদম নির্ভার নয়।
পাল্লেকেলেতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের হাতছানি শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় হতাশায়, আর দ্বিতীয় টেস্টে চতুর্থ দিন সকালেই হেরে বসে বাংলাদেশ। ফলে গলে ড্র হওয়া প্রথম টেস্টের আনন্দও মলিন হয়ে যায়। আজ যদি আবারও সিরিজ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া হয়, তাহলে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে একটি সিরিজও না জেতার হতাশা নিয়ে দেশে ফিরবে টাইগাররা।
শ্রীলঙ্কা দলের কোচ সনাৎ জয়াসুরিয়া অবশ্য চাপের কথা একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন। তার বক্তব্য,
‘আমরা টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি, টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও আমাদের জিতেই শেষ করতে হবে। খেলোয়াড়েরা নিজেদের উজাড় করে দিতে প্রস্তুত, সে জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি।’
তিনি বিশেষ করে উপরের সারির তিন ব্যাটসম্যানের কাছে বড় ইনিংস প্রত্যাশা করছেন এবং অভিজ্ঞ বোলারদের মধ্যে দেখতে চাচ্ছেন অভিজ্ঞতার ছাপ।
গতকাল প্রেমাদাসায় সন্ধ্যার পরও পুরোদমে অনুশীলন করেছে লঙ্কানরা। মূল উইকেটের দুই পাশে চলেছে ব্যাটিং-বোলিং প্র্যাকটিস। ব্যাটসম্যানদের লক্ষ্য ছিল বড় শট অনুশীলন, যেন টি-টোয়েন্টির জন্য প্রস্তুতি শতভাগ হয়। কোচ জয়াসুরিয়া ছিলেন পর্যবেক্ষকের ভূমিকায়।
বাংলাদেশ দলের অনুশীলন ছিল তুলনামূলকভাবে হালকা। লিটন দাস ও পারভেজ হোসেন আলাদাভাবে বড় শট অনুশীলন করেছেন। প্রথম দুই ম্যাচে না খেলা মাহেদী ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই সময় দিয়েছেন নেটে।
তবে দলের অনুশীলনে দেখা যায়নি আগের ম্যাচে ঝড়ো ব্যাটিং করে নজর করা শামীম হোসেনকে। তিনি হালকা অসুস্থতায় বিশ্রামে ছিলেন, তবে বিষয়টি গুরুতর নয় বলে জানিয়েছে টিম ম্যানেজম্যান্ট সূত্র।