গোপালগঞ্জ সভা শেষে ফেরার পথে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক মো.কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বুধবার দুপুর আড়াইটার পরে শহরের লঞ্চ ঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত আছেন।
এনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল ব্যক্তি নেতা-কর্মীদের ঘিরে হামলার চেষ্টা করে। তারা চারদিক থেকে এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে। এ সময় পুলিশ-সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তারা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন পরিস্থিতি ঠিক নেই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এনসিপি নেতারা গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে টেকেরহাট হয়ে মাদারীপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। হামলার সময় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এ ঘটনার পর এনসিপির নেতারা গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউজে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে।
এর আগে দুপুর দুইটার পর পৌর পার্কের উন্মুক্ত মঞ্চে এনসিপির সভা শুরু হয়। তবে সভা শুরুর আগে দুপুর ১টা ৩৫ মনিটের দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশের মঞ্চে এক দফা হামলা হয়।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যদি আজকে বাধা দেওয়া না হতো তাহলে গোপালগঞ্জের এখানে লোকে লোকারণ্য হত। আমরা এখানে গোপালগঞ্জের নাম বদলাতে আসিনি। আমরা এসেছি শান্তি এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে।’
তিনি আরও বলেন, আপনারা যারা দূর থেকে শুনছেন, ‘আমরা আজকে গোপালগঞ্জ এসেছিলাম দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার কর্মসূচিতে। আমরা এসেছি ভবিষ্যত বাংলাদেশে, এই নতুন বাংলাদেশের গোপালগঞ্জবাসীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। শান্তি এবং দেশ গড়ার আহ্বার নিয়ে গোপালগঞ্জ এসেছি।’
