জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রান্সেসকা আলবানিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার এক ঘোষণায় এই তথ্য জানান।
রুবিও বলেন, ‘আলবানিজের আমেরিকা ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধ আমরা আর সহ্য করব না। আমরা সব সময় আমাদের মিত্রদের আত্মরক্ষার অধিকারের পাশে থাকব।’

আলবানিজ দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘বর্ণবাদের’ অভিযোগ এনেছেন এবং হামাসের হামলাকে ‘অস্বাভাবিক নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি জাতিসংঘে দেওয়া এক প্রতিবেদনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আগ্রাসনের অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি ইসরায়েলের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। এমনকি ২০২২ সালে এক বিতর্কিত পোস্টে তিনি ‘ইহুদি লবি’র প্রভাব নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, যা পরে সমালোচনার মুখে সরিয়ে ফেলেন।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ভয়েসের সভাপতি অ্যান বায়েফস্কি বলেন, ‘আলবানিজের ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড, তার ঘৃণামূলক বক্তব্য, সবকিছুই মার্কিন স্বার্থের জন্য হুমকি। তার মতো ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।’
ইসরায়েলও এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’আর এক পোস্টে বলেন, ‘এটি একটি স্পষ্ট বার্তা। এখন জাতিসংঘের সময় এসেছে বাস্তবতা বুঝে নেওয়ার।’
জাতিসংঘে ইসরায়েলের প্রতিনিধি ড্যানি ড্যানন বলেন, ‘আলবানিজ বারবার জাতিসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তার ভুল ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য আমরা আর সহ্য করব না।’
জাতিসংঘের তদারকি সংস্থা ইউএন ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক হিলেল নেউয়ার বলেন, ‘এটা ইতিহাসে প্রথমবার কোনো জাতিসংঘ কর্মকর্তা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লেন। তিনি কখনোই আর আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারবেন না বা সেখানকার ক্যাম্পাসে তার বিষ ছড়াতে পারবেন না। ন্যায়ের জয় হলো।’
আলবানিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে জাতিসংঘ এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।