পাকিস্তানের বিনোদন অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। করাচির একটি বাসা থেকে মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত দুই সপ্তাহ আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, করাচির ওই অ্যাপার্টমেন্টে প্রায় সাত বছর ধরে একা থাকতেন হুমাইরা। সাম্প্রতিক সময়ে তার বাসা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়রা বাড়ির মালিককে জানান। মালিক একাধিকবার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) আসাদ রাজা জানান, ‘‘লাশটি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় পচন ধরে গেছে। মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ জিন্নাহ মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

প্রতিবেশীরা জানান, হুমাইরা আসগর সাধারণত কারও সঙ্গে মিশতেন না। তারা অনেক দিন ধরেই এই অভিনেত্রীকে দেখতে পাননি, এমনকি তার বাসায় কেউ আসতেও দেখেননি।
টেলিভিশন শো ‘তামাশা ঘর’ এবং ২০১৫ সালের আলোচিত সিনেমা ‘জালিবি’-তে অভিনয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছিলেন হুমাইরা আসগর। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও সম্প্রতি তিনি কাজ কমিয়ে দিয়েছিলেন।
হুমাইরার মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি এর পেছনে কোনো অপরাধ জড়িত, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি এটি দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা, নাকি হত্যাকাণ্ড।’
এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে নানা জল্পনা। পাকিস্তানের তারকা ও সাধারণ মানুষ শোক জানিয়ে তার রহস্যজনক মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।