যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ‘ইতিবাচক মনোভাব’ দেখিয়েছে হামাস। শুক্রবার তারা জানিয়েছে, এই চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত তারা। এই প্রস্তাবের আওতায় জিম্মি মুক্তি এবং সংঘাতের অবসান নিয়ে আলোচনা হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রায় ২১ মাস ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে ‘চূড়ান্ত প্রস্তাব’ হিসেবে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। ট্রাম্প বলেন, তিনি শিগগিরই দু’পক্ষের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া আশা করছেন।
হামাস তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লিখেছে, ‘হামাস আন্দোলন অভ্যন্তরীণ পরামর্শ ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি দল ও গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনার পর মধ্যস্থতাকারীদের সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, এর লক্ষ্য হলো- আমাদের জনগণের ওপর চলমান আগ্রাসন থামানো।’
বিবৃতিতে হামাস আরও বলেছে, ‘হামাস পূর্ণ আন্তরিকতায় এই কাঠামো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।’
তবে দু’পক্ষের মধ্যে চ্যালেঞ্জ এখনও অব্যাহত। হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, ‘মানবিক সহায়তা, মিসরের রাফা সীমান্ত পারাপার এবং ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের সময়সূচি নিয়ে এখনও উদ্বেগ রয়েছে।’
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার বলেছিলেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য ‘প্রয়োজনীয় শর্তগুলোতে’ সম্মত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগামী সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে ওয়াশিংটনে সাক্ষাৎ করবেন। এখনও এই ঘোষণায় প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি নেতানিয়াহু।
দুই পক্ষের প্রকাশ্য বক্তব্যে এখনও মতপার্থক্য স্পষ্ট। নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে। ইসরায়েলের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েল হামাসের প্রতিক্রিয়া পেয়েছে এবং তারা সেটি পর্যালোচনা করছে।
তবে একজন মিশরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তারা হামাসের প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করেছে এবং তারা ‘একটি চুক্তির কাছাকাছি’ রয়েছে, ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে হামাসের কিছু দাবি নিয়ে এখনও কাজ করা বাকি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি নেতানিয়াহুর ওপর ‘অত্যন্ত কঠোর’ হবেন। যদিও উল্লেখ করেছেন যে নেতানিয়াহুও একটি চুক্তি চান।