মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। চলমান সংঘাত আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কার মধ্যেই তিনি এই মন্তব্য করেন।
স্টারমার বলেন, ‘এখানে সংঘাত বৃদ্ধির বড় ঝুঁকি রয়েছে। আমাদের উচিত সব পক্ষকে কূটনৈতিক সমাধান খোঁজার আহ্বান জানানো।’
তিনি আরও জানান, ‘এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এরইমধ্যে একাধিক দফা আলোচনা হয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি।’
স্টারমারের এই মন্তব্য এমন সময় এসেছে, যখন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শীর্ষ কূটনীতিক মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মাঠে আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত দিন ধরে চলমান সংঘাত আরও তীব্র হয়ে উঠছে। ইসরায়েল ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। পাল্টা জবাবে ইরানও ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা করছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে ইরানের সর্বশেষ হামলা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। এতে তেলআবিবের একটি হাসপাতালসহ একাধিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, ওই হামলায় কমপক্ষে ১৩৭ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভাষণে বলেন, ‘ইরানের হামলায় ইসরায়েল অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা মর্মান্তিক ক্ষতি ভোগ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত রাতেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমাদের মধ্যে উষ্ণ আলোচনা হয়েছে, তিনি ইসরায়েলের পাশে আছেন।’
নেতানিয়াহু আরও জানান, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ ফ্রন্ট এখনো শক্তিশালী। গাজা উপত্যকায় তীব্র লড়াই চলছে। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব যতক্ষণ না সবাইকে ঘরে ফিরিয়ে আনা যায় এবং হামাসকে পুরোপুরি পরাজিত করা যায়।’