জুনের প্রথম দিন মিউনিখ ফুটবল এরিনায় বসতে যাচ্ছে ইউরোপ সেরা হওয়ার মহারণ। এদিন
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি পিএসজি-ইন্টার মিলান।
দুই দলের দুই রকম পথ, দুই রকম দর্শন। একদিকে তরুণ, গতি আর পজিশনের সমন্বয়ে গড়া নতুন পিএসজি। অন্যদিকে নির্ভুল প্ল্যানে গড়া, রক্ষণভিত্তিক কিন্তু ভয়ঙ্কর কার্যকর ইন্টার মিলান।
পিএসজির পরিবর্তনের গল্পটা শুরু হয়েছিল এক বছর আগে। লিওনেল মেসি, নেইমার, এমবাপ্পেদের বিদায়ের পর, লুইস এনরিকে গড়েছেন নতুন দল। দেম্বেলে, বার্কোলা, ম্যানু উগার্তে—এরা সবাই তরুণ, আগ্রাসী, ভয়ডরহীন। এই পিএসজি খেলছে টিম ফুটবল। এরা শুধু নাম নয়, এরা এখন পরিচয়।
অন্যদিকে ইন্টার মিলান—যারা কঠিন রক্ষণের ফাঁদে ফেলে, প্রতি আক্রমণে প্রতিপক্ষকে বধ করতে জানে। বার্সেলোনাকে যেভাবে শেষ মুহূর্তে বিদায় করে দিল, তা-ই প্রমাণ করে—এই দলটি নিয়ে শেষ বাঁশির আগ পর্যন্ত হিসেব মিলিয়ে ফেলা যায় না। ডিফেন্সে ডিসিপ্লিন, মাঝমাঠে অভিজ্ঞতা, আর আক্রমণে ঠাণ্ডা মাথায় কাজ শেষ করার দক্ষতা—এটাই ইন্টারের শক্তি।
ম্যাচটি শুধু একটি শিরোপার লড়াই নয়, বরং ব্যালন ডি’অরেও এই ম্যাচ ফেলতে পারে বড় প্রভাব। এখনো ভালোভাবেই লড়াইয়ে বার্সার লামিন ইয়ামাল। দেম্বেলে যদি ফাইনালে বড় কিছু করে ফেলেন, তাহলে ভোটে উল্টে যেতে পারে অনেক সমীকরণ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের যুদ্ধেে লড়াই হবে টিমওয়ার্কের সাথে এক্সপেরিয়েন্সের। ফুটবল বিশ্বের চোখ এখন মিউনিখে। অপেক্ষার প্রহর গুণছে ভক্তরা- কার মাথায় উঠবে ইউরোপ সেরার মুকুট?