পোশাক রফতানিতে কার্যকর শুল্ক ৩৬.৫ শতাংশ: বিজিএমইএ সভাপতি


যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে নতুন করে শুল্ক কাঠামো কার্যকর হতে চলেছে। এখন থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ওপর গড়ে ৩৬.৫ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হবে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নতুন পাল্টা শুল্ক এবং আগের ১৬.৫ শতাংশ শুল্ক অন্তর্ভুক্ত। তবে এই উচ্চ শুল্ক থেকে কিছুটা রেহাই পেতে হলে বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ করতে হবে: পোশাক তৈরিতে কমপক্ষে ২০ শতাংশ মার্কিন তুলা ব্যবহার করতে হবে। শনিবার (২ আগস্ট) বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজিএমইএ সভাপতি জানান, পূর্বে মার্কিন সরকার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যে ৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিল, তা এখন কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩১ জুলাইয়ের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, পোশাকের কাঁচামালের একটি নির্দিষ্ট অংশ (কমপক্ষে ২০ শতাংশ) যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা হলে এই অতিরিক্ত শুল্ক পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ছাড় পাওয়া যাবে।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘শুল্ক হ্রাস নিঃসন্দেহে স্বস্তির, তবে আত্মতুষ্টির কোনও সুযোগ নেই। কারণ আমাদের সামনে আরও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা চুক্তিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। একইসঙ্গে মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার বাড়িয়ে শুল্ক অব্যাহতির সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর ওপরও শুল্ক কার্যকর আছে। চীনের ওপর ৩০ শতাংশ এবং ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা আছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশের জন্য নতুন এই শুল্ক কাঠামো কিছুটা প্রতিযোগিতামূলক হলেও, দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকতে হলে নতুন নিয়মের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের রফতানির প্রায় ৭৫ শতাংশই তুলানির্ভর পোশাক। অতএব, এই সুযোগটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। … তবে আত্মতুষ্টির কোনও সুযোগ নেই। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী আদেশে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা চুক্তি এখনও আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে। এসব চুক্তি চূড়ান্ত হলে কিছু দেশের জন্য শুল্ক আরও কমে যেতে পারে।’
তাই রফতানিকারকদের প্রতি তার পরামর্শ, মার্কিন ক্রেতাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করে দ্রুত মার্কিন তুলা ব্যবহারের কৌশল নির্ধারণ করা। এই ছাড় কার্যকর হলে বাংলাদেশের উৎপাদন খরচ কিছুটা কমতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের তুলার দামও কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।