সময়ের জনমাধ্যম

গাজায় সামরিক অভিযান জোরদার করার পরিকল্পনা অনুমোদন

গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা। পরিকল্পনার আওতায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটি সম্পূর্ণরূপে দখল করে ভবিষ্যতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।

আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের পরই এই পরিকল্পনা কার্যকর করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইতোমধ্যে হাজার হাজার সংরক্ষিত সেনাকে ডেকে পাঠিয়েছে। তারা এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিদের ফেরত আনা এবং হামাসকে পরাজিত করার জন্য চাপ বৃদ্ধি করা।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা প্রাইভেট কোম্পানির মাধ্যমে গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহ ও বিতরণের একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এই অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি পণ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। তবে, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য দাতা সংস্থা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেছে যে এটি মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের মূলনীতির পরিপন্থী এবং তারা এতে কোনো সহযোগিতা করবে না।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা রোববার সন্ধ্যায় গাজায় হামলা বৃদ্ধির বিষয়ে বৈঠকে বসে এবং সেখানেই এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, কয়েক মাস ধরে পর্যায়ক্রমে গাজায় সামরিক হামলা বৃদ্ধির এই প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে, গাজার আরও কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যবর্তী বাফার জোনের এলাকা সম্প্রসারণ করা হবে। ইসরায়েলের বিশ্বাস, এর ফলে হামাসের সঙ্গে নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি আলোচনায় তারা বাড়তি সুবিধা পাবে।

ইসরায়েলের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হারেৎজ সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে অভিযানের লক্ষ্য শুধুমাত্র রেইড দেওয়া থেকে পরিবর্তিত হয়ে গাজায় স্থায়ীভাবে দখল প্রতিষ্ঠা করা এবং সেখানে ইসরায়েলের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে।

এর আগে, রোববার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়েল যামিড বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের বলেছিলেন যে, গাজায় অভিযান আরও শক্তিশালী এবং এর আওতা সম্প্রসারণের জন্য হাজার হাজার সংরক্ষিত সেনাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।