বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে তিনবার চিকিৎসার জন্য সহায়তা চেয়েও সাড়া মেলেনি। অবশেষে মারা যান শিক্ষার্থী জেবুন্নেসা হক জিমি।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সারে মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর জেবুন্নেসা হক জিমির সহপাঠীরা এমন অভিযোগ তুলেছেন উপাচার্য ড. শূচিতা শরমিনের বিরুদ্ধে। জিমি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের (৯ম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
জিমির সহপাঠীরা জানান, ২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৮ তারিখে জিমির চিকিৎসার আর্থিক সাহায্যের জন্য উপাচার্যের দপ্তরে একটি আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়। কিন্তু উপাচার্য দপ্তর থেকে কোনো সাড়া দেয়া হয়নি। এরপর আরও দুই দফায় একই আবেদন দেয়া হয় কিন্তু তাতেও তিনি কোনো কর্ণপাত করেনি।
এ বিষয়ে জিমির সহপাঠী রবিউল ইসলাম বলেন, জিমির চিকিৎসার জন্য উপাচার্য বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে আর্থিক সহায়তা চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। পরে উপাচার্যের দফতরে গিয়ে খোঁজ নেয়া হলে তারা জানান যে আবেদনপত্র হারিয়ে গেছে, আবার আবেদন করতে বলা হয়। পরবর্তীতে একই আবেদনপত্র তিনবার জমা দেয়ার পরও তারা কোনো পজিটিভ রেসপন্স করেনি। ১৫ দিন আগেও পুনরায় আবেদন করা হয়েছে। ৪ মাস ১৫ দিন হয়ে গেলেও উপাচার্যের থেকে কোনো উত্তর আমরা পাইনি। আর আবেদনপত্রের উত্তর দিতে হবে না, জিমি মারা গেছেন।
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আমাদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জিমিকে যতটুকু পেরেছি সাহায্য করেছি। আরো কিছু সাহায্যের জন্য আমি আমার শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপাচার্য বরাবর তার আর্থিক সহায়তার জন্য একটা আবেদন করেছিলাম কিন্তু তার আর কোনো আপডেট আমরা পাইনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে একাধিকবার কল করেও কোনো সাড়া মেলেনি।