পটুয়াখালী ও মাগুরার সাম্প্রতিক ধর্ষণ ও হত্যা মামলার দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার আশ্বাস দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। রোববার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই বিষয়ে সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান।
জুলাই মাসের গণআন্দোলনে শহীদ এক পিতার কন্যার মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, “জুলাই গণআন্দোলনে একজন শহিদের মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পটুয়াখালীর দুমকিতে গ্রামের বাড়িতে বাবার পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে। এই গভীর বেদনাময় ঘটনা আমাদের স্তদ্ধ করেছে। আমরা যতো দ্রুত সম্ভব এর বিচার করব।”

তিনি জানান, পটুয়াখালীর ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আসামি বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন এবং তাদের জামিনের খবরটি সঠিক নয়। আসামিদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং পুলিশ দ্রুতই চার্জশিট জমা দেবে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, চার্জশিট জমা দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ডিএনএ নমুনা অনুকূলে থাকলে এর থেকেও কম সময়ে বিচার শেষ হওয়া সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, পুলিশের চার্জশিট পাওয়ার পর গত বুধবার বিচার শুরু হয়েছে। “ডিএনএ স্যাম্পল ও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি থাকার কারণে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলাম যে বিচারকাজ শুরু হওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন হবে। আশা করি এর ব্যত্যয় হবে না।”
বিচার প্রক্রিয়ায় সামান্য বিলম্বের কারণে মানুষের কষ্ট অনুধাবন করে তিনি বলেন, “বিচারকাজে দু-চারদিন দেরি হলে আপনাদের কষ্ট হয়। সেটা বোধগম্য। কিন্তু, বিচার যদি ঠিকমতো না হয়, তাহলে উচ্চ আদালতে আপিলে গেলে রায়টা টিকবে না। এটা যদি হয়, এর চেয়ে শোচনীয় আর কিছুই হতে পারে না। আপনাদের মতো আমিও শোকাচ্ছন্ন, কিন্তু ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের কিছুটা অপেক্ষা করতে হতে পারে। নরপশু ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।”