গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে নিজ দেশেই প্রবল বিক্ষোভের মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজায় নতুন করে আক্রমণের বিরুদ্ধে সোচ্চার দেশটির মানুষ। দাবি উঠেছে যুদ্ধবিরতির, রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজায় গত কয়েক দিনে ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।
বিক্ষোভের কারণে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো বন্ধ করা হয়েছে। জেরুজালেম ও তেল আবিব থেকে পুলিশ কমপক্ষে ১২ জনকে আটক করেছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকার রাজনৈতিক কারণে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। গাজায় এখনও হামাসের কাছে জিম্মি থাকা ৫৯ জনের পরিণতি নিয়ে ভাবছে না সরকার। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে- জিম্মিদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত আছেন।

তবে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় বিমান হামলা চালানোর পর নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জোরদার হতে থাকে। হাজার হাজার মানুষ ইসরায়েলের রাস্তায় নেমেছেন। বুধবার হাজার হাজার মানুষ জেরুজালেমের মধ্যাঞ্চলে নেতানিয়াহুর সরকারি বাসভবনের কাছের সড়কগুলোতে অবস্থান নেন।
২০২৩ সালে হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া নাগরিকদের ফিরে পাবার আগে নেতানিয়াহু নতুন করে আক্রমণ শুরু করায় বিরক্ত দেশটির বেশিরভাগ মানুষ। দেশের অধিকাংশ মানুষ চান, যুদ্ধ বন্ধ করে জিম্মিদের প্রত্যার্পণ নিয়ে আরও বেশি আলোচনা চালাক সরকার। যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখতে বিদেশি সরকারগুলোর আহ্বান উপেক্ষা করে সম্প্রতি আকাশ ও স্থলপথে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে গত জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে গেছে।

মঙ্গলবার ইসরায়েলে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল দেশটির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বার’কে বরখাস্ত করার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে। নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে রনেন একটি তদন্ত করেছিলেন। রোনেন বার’কে বরখাস্তের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওঠে। ওই বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে বরখাস্তের পক্ষে মত দেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। সেই ঘটনার সাথে যুক্ত হয়েছে গাজায় নতুন আগ্রাসনের ক্ষোভ।