‘আল্লায় দিলে নির্বাচনের আগে আরও অনেক অস্ত্র উদ্ধার হবে’


রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করলে কোনো সমস্যা ছাড়াই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনস পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে আদমজীতে র্যাব-১১ এর সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যারা ইলেকশন করবেন, অর্থাৎ রাজনৈতিক দল বা স্বতন্ত্র হিসেবে যারা করতে চান, তারা কিন্তু মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তারা যদি সবাই সহযোগিতা করে, তাহলে আমাদের পক্ষে ইলেকশন করা সম্ভব, কোনো সমস্যা হবে না।’
গত বছর পাঁচ আগস্টের পর লুট হওয়া সরকারি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সব অস্ত্র এখনো আমরা উদ্ধার করতে পারি নাই। অস্ত্রগুলো উদ্ধারের চেষ্টা আমরা করছি। আল্লায় দিলে হয়তো নির্বাচনের আগে আরও অনেক অস্ত্র উদ্ধার হয়ে যাবে।
‘নির্বাচনটা যেন আপনাদের সহযোগিতায়, জনগণের সহযোগিতায় ভালোভাবে হতে পারে, সেই চেষ্টা অবশ্যই আমরা করব। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটা অংশ, কিন্তু সবচেয়ে বড় অংশ হলো যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। দুই নম্বর হলো—ইলেকশন কমিশন, তারপর প্রশাসন, তারপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘লজিস্টিক সাপোর্টের অভাব নাই’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভারত থেকে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশি নাগরিক ওইখানে আছেন, তাদেরকে আমাদের নিতে হবে, ১০ বছর বা ২০ বছর হোক; যদি ওইখানে গিয়ে থাকেন এবং বাংলাদেশি হয়ে থাকেন। কিন্তু যারা রোহিঙ্গা তাদেরকে অ্যাকসেপ্ট করছি না, ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছি।’
ভারত ‘প্রপার চ্যানেলে’ বাংলাদেশিদের পাঠাচ্ছে না উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তারপরও যদি বাংলাদেশি কোনো নাগরিক সেখানে থাকে, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী প্রপার চ্যানেলে পাঠানোর কথা বলেছি। ওদেরও যারা ভারত থেকে আসতেছে, তাদের কিন্তু আমরা প্রপার চ্যানেলে পাঠাই। কিন্তু ওরা প্রপার চ্যানেলে না পাঠিয়ে জঙ্গলে, নদীর পাড়ে ফেলে রাখে। এটা কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য না। এটা হিউম্যান রাইটসেরও ভায়োলেশন। এ ব্যাপারে আমরা প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। প্রতিবাদে কিছু কিছু কাজ হচ্ছে, এখন সংখ্যাটা একটু কমে আসছে।’
বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ লাইনসে এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এক্ষেত্রে যেটা ঘটনা, সেই সত্য সংবাদটি প্রকাশ করবেন। আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নির্দেশনা—যেই ঘটনা ঘটে ওইটার সত্যিটা প্রকাশ করে দেওয়া, এইটার ভেতর লুকোচুরি করার কোনো কিছু নাই। জনগণ কিন্তু সচেতন। তারপরও কিছু স্বার্থান্বেষী লোকজন তো থাকবেই যারা সবসময় একটা প্রবলেম ক্রিয়েট করার জন্য চেষ্টা করবে।’
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার প্রমুখ।