ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষ্যে নিবন্ধিত প্রায় ৭২ হাজার প্রবাসীর ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার এক সপ্তাহের মাথায় নিবন্ধিতদের পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু করেছে ইসি। নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধনের পরদিন গত ১৯ নভেম্বর প্রবাসীদের নিবন্ধন শুরু হয়, এটি ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
এছাড়া দেশে থাকা সরকারি চাকরিজীবী, ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সোমবার বেলা ২টা পর্যন্ত ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬২৭ জন নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশে ৯৪ হাজার ২৪৭ জন ডাকযোগে ভোট দিতে নিবন্ধিত হয়েছেন।
এদিকে, সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনসহ চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সোমবার তেজগাঁওয়ে পোস্টাল ভোটিংয়ের মেইল প্রসেসিং সেন্টার পরিদর্শন করেছেন। এসময় পোস্টাল প্যাকেজিংয়ের পুরো কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে সিইসি। তিনি বলেন, “প্রবাসীদের জন্য আমরা প্রথমবারের মত পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা নিয়েছি। দেশের ভেতরেও এ ব্যবস্থা রয়েছে। এ কর্মযজ্ঞ ও ভোটের গোপনীয়তা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই এটা করা হয়েছে।”
পোস্টাল ভোটিংয়ের প্রচার বাড়ানোর পাশাপাশি নিবন্ধনে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিন দিনের মধ্যে নিবন্ধন বেশ হবে আশা রেখে সিইসি বলেন, “পোস্টাল ভোটিংয়ের এ পদ্ধতি একটা মডেল হয়ে থাকবে।… নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে এগিয়ে যাব। সামনের নির্বাচনে আরও কাভারেজ বাড়বে। আমরা এ অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট।”
নির্বাচন কমিশনের ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি–এসডিআই)’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বলেন, ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপন, কুয়েক, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ৭১ হাজার ৯৫৩ জনের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। ধাপে ধাপে নিবন্ধিত সবার কাছে সংসদ ও গণভোটের ব্যালট পেপার পৌঁছে যাবে।’
ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এস এম হারুনুর রশীদ বলেন, নিবন্ধিতদের ডেটা পাওয়ার পর প্রবাসে পাঠানোর ঠিকানা, আসনভিত্তিক ফেরত খামের ঠিকানাসহ প্রতিদিন (দিন ও রাতে) গড়ে ৪০-৫০ হাজার প্রিন্ট হচ্ছে। প্রসেসিং সেন্টারে আনার পর নিরাপত্তার সাথে যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্যাকেজ করছে একদল দক্ষ লোক।”
ডাক ও টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপ সচিব বিএম মশিউর রহমান জানান, ১৮ ডিসেম্বর থেকে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু হয়েছে। আর্মি প্রিন্টিং প্রেসে ব্যালট ছাপানো হচ্ছে আর মেইল প্রসেসিং সেন্টারে তা নির্ধারিত পদ্ধতিতে খামে নিবন্ধিতদের ঠিকানায় পাঠানোর প্যাকেজিং চলছে। এরপর বিমানবন্দর থেকে তা পর্যায়ক্রমে প্রবাসীদের ঠিকানায় যাচ্ছে।