মাত্র ৩৮ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে গেলেন ভারতীয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়া মারাঠে। দীর্ঘদিন ক্যানসারের সাথে লড়াই করে হেরে গেলেন তিনি। রোববার ভোর চারটায় মুম্বাইয়ের মীরা রোডের নিজ বাসভবনে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রিয়া।

তার স্বামী স্বামী শান্তনু মোগেও অভিনেতা। মারাঠি টেলিভিশনে ছত্রপতি শিবাজির চরিত্রের পরিচিত মুখ তিনি। সারা ভারতে ছোট পর্দার দর্শকদের কাছে তিনি ছিলেন জনপ্রিয় মুখ, বাংলাদেশেও তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।

২০০৫ সালে ‘ইয়া সুখানো ইয়া’ নামের মারাঠি ধারাবাহিকে প্রিয়া মারাঠে প্রথম অভিনয় করেন। এরপর তিনি কাজ করেছেন দীর্ঘকালীন সিরিয়াল ‘চার দিবস সাসুছে’-তে। মারাঠি থেকে বলিউডে পা রাখেন ২০০৮ সালে। মিলিন্দ উকের চলচ্চিত্র ‘হমনে জিনা শিখ লিয়া’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় তার।

প্রিয়া সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পান একতা কাপুর প্রযোজিত জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘পবিত্র রিশতা’-য়। সেখানে তিনি অভিনয় করেছিলেন বর্ষা দেশপান্ডে ও ঝুমরির চরিত্রে। এ ধারাবাহিকে ছিলেন প্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুত ও অঙ্কিতা লোখান্ডে।

প্রিয়ার সহ-অভিনেত্রী উষা নাদকার্নি শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি শুনেছিলাম ওর ক্যানসার হয়েছে। পরে অপারেশন করেছিল, আবার কাজেও ফিরেছিল। তবে সম্প্রতি জানতে পারি, ওর অবস্থা ভালো নয়। শেষ কদিন আগে স্বামী আমাদের দেখতে যেতে মানা করেছিলেন। হয়তো চিকিৎসার কারণে মাথার চুল পড়ে গিয়েছিল বলে তিনি লজ্জা পাচ্ছিলেন। ভীষণ কষ্ট লাগছে। এত অল্প বয়সে কেউ চলে যায় কেমন করে? ঈশ্বর এত নিষ্ঠুর হতে পারেন?’

উষা নাদকার্নি আরও বলেন, ‘প্রিয়া সব সময় হাসিখুশি থাকত, সবার সঙ্গে মিশত। ও তো বিয়েও করেছিল কয়েক বছর আগে, ঋণ করে বাড়িও কিনেছিল। ভালোই হলো ওর সন্তান হয়নি, না হলে আজ ওদের কী হতো কে জানে।’

অভিনয়ের পাশাপাশি প্রিয়া ছিলেন একজন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ানও। ২০১০ সালে তিনি অংশ নেন ‘কমেডি সার্কাস কে সুপারস্টারস’ অনুষ্ঠানে। পরবর্তী সময়ে অভিনয় করেন ‘উত্তরণ’ (২০১১-১২), ‘বড়ে আচ্ছে লাগে হ্যায়’ (২০১২) এবং ‘সাথ নিভানা সাথিয়া’–তে (২০১৭)।
একই সঙ্গে হিন্দি ও মারাঠি টেলিভিশনে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন প্রিয়া মারাঠে।