মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা এগিয়ে নিতে হামাস নেতা খলিল আল-হায়া কায়রো পৌঁছেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সফরের বিষয়ে হামাসের কর্মকর্তা তাহের আল-নোনো জানিয়েছেন, বুধবার (১৩ আগস্ট) হামাসের প্রতিনিধিরা মিসরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। তাদের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে যুদ্ধের অবসান, মানবিক সহায়তা প্রদান এবং গাজাবাসীর দুর্ভোগ লাঘব করা।
এর আগে গত জুলাই মাসে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা (তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতিতে) কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছিল। সে সময় উভয় পক্ষই ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি পরিকল্পনায় অগ্রগতি না হওয়ার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছিল।
কায়রো সফরের বিষয়ে অবগত একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, হামাস আলোচনার টেবিলে বসতে প্রস্তুত এবং তারা তাদের অবস্থান স্পষ্ট করবে। তিনি আরও জানান, হামাস বিশ্বাস করে যে যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য আলোচনাই একমাত্র উপায় এবং এই লক্ষ্য অর্জনে তারা যেকোনো ধরনের মতবিনিময়ে আপত্তি করবে না। তবে, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের মাত্রা এবং হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এখনও বিস্তর ফারাক রয়েছে।
যুক্তরাজ্য, ইইউ এবং কানাডাসহ ২৬টি দেশের নিন্দা সত্ত্বেও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলা অব্যাহত রয়েছে। আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজন ক্ষুধাজনিত কারণে মারা গেছেন, যার একজন ছয় বছর বয়সী শিশু। এই ঘটনা ইসরায়েলি অবরোধের করুণ চিত্র তুলে ধরেছে। নিহতদের মধ্যে ১৯ জনকে খাদ্য সহায়তা সংগ্রহের সময় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় মোট ৬১,৫৯৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,৫৪,০৮৮ জন আহত হয়েছেন।