হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি পদে নিয়োগ পেলেন ২৫ জন


সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ২৫ জন। রাষ্ট্রপতির আদেশে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা ১১৩ জনে দাঁড়াল।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ২৫ জনকে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
আজ (২৬ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ পাঠ করাবেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে তারা পরবর্তী দুই বছর নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন।
নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, সলিসিটর, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সচিব, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রয়েছেন।
তারা হলেন—চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা এবং জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সচিব মুরাদ-এ-মাওলা সোহেল।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন মো. আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন, রাজিউদ্দিন আহমেদ, ফয়সল হাসান আরিফ, ফাতেমা আনোয়ার, আবদুর রহমান, সৈয়দ হাসান যুবাইর, মো. আসিফ হাসান, মো. জিয়াউল হক ও উর্মি রহমান।
অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দিহিদার মাসুম কবীর, মো. মনজুর আলম, মো. লুৎফর রহমান, রেজাউল করিম, মাহমুদ হাসান, এ. এফ. এম সাইফুল করিম ও এস. এম. সাইফুল ইসলাম নিয়োগ পেয়েছেন।
হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম একমাত্র নারী বিচারক, যিনি অধস্তন বিচার বিভাগ থেকে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের দুই নারী আইনজীবী—ফাতেমা আনোয়ার ও উর্মি রহমান তালিকায় রয়েছেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের, অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ও যুগ্ম সচিব এসএম সাইফুল ইসলাম এবং সলিসিটর শাখা প্রধান মো. রফিজুল ইসলাম নিয়োগ পেয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মো. মুয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর অধীনে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হলো।’
সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানিয়েছে, মামলার জট কমাতে এবং বিচার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এটি হাইকোর্টে একসঙ্গে সর্বাধিক নিয়োগ।