স্ট্যাবল কয়েন: ট্রাম্প আমলে যুক্তরাষ্ট্রের ‘জিনিয়াস’ মুদ্রা বিপ্লবের শুরু


বিটকয়েন বাড়ছে, সাথে বাড়ছে এর মূল্য। তবে এর দরের উত্থান-পতনে থাকে অনিশ্চয়তাও। মার্কিন প্রশাসনের নতুন এক সিদ্ধান্তে সামনে নতুন প্রশ্ন, ডিজিটাল মুদ্রা কি কেবল প্রযুক্তিবিদদের খেলাঘরেই থাকবে? নাকি এবার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠবে?
এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে যুক্তরাষ্ট্রের আইনি কাঠামোর বড় পরিবর্তনে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষর করেছেন ‘Genius Act’ নামের একটি নতুন আইনে, যার মূল লক্ষ্য—ডলারভিত্তিক ভার্চুয়াল কারেন্সি চালু করা, যার নাম- স্ট্যাবল কয়েন। এই কয়েন কোনো সাধারণ ক্রিপ্টোকারেন্সি নয়। এর পেছনে থাকবে মার্কিন ডলারের সমান মূল্যের নিশ্চয়তা। মানে—১ কয়েন সমান ১ ডলার। থাকবে লেনদেনে স্থিতিশীলতা নিরাপত্তা আর নির্ভরযোগ্যতা।
এই আইনটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটেও বিরোধ দেখা যায়নি। অর্থাৎ সরকার নিজেই এগিয়ে আসছে ডিজিটাল লেনদেনকে গণমানুষের নাগালে পৌঁছাতে। যদিও এর পেছনে কেবল প্রযুক্তি বা আর্থিক সুবিধা নয়, আছে রাজনৈতিক কৌশলও। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রি খরচ করেছিল প্রায় ২৪৫ মিলিয়ন ডলার, যার বেশিরভাগই গিয়েছিল ট্রাম্প-শিবিরে। কারণ—ট্রাম্প ডিজিটাল মুদ্রার পক্ষে। ট্রাম্পের মতে, নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে। স্ট্যাবল কয়েন হবে ভবিষ্যতের অর্থনীতি। টাকা পাঠানো, কেনাকাটা, এমনকি সঞ্চয়—সব হবে এই নিরাপদ ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে ২০২৮ সালের মধ্যেই স্ট্যাবল কয়েনের বাজার পৌঁছাতে পারে ২ ট্রিলিয়ন ডলারে। বর্তমানে এর বাজার মূল্য ২৬০ বিলিয়নেরও বেশি। তবে এই নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো কি শুধুই সম্ভাবনার? নাকি বাস্তব দুনিয়ায় আনতে পারে বৈপ্লবিক পরিবর্তন? ডলার-ভিত্তিক ডিজিটাল মুদ্রার এ যাত্রা যদি সফল হয়, তাহলে যাবে বিশ্বজুড়ে লেনদেনের ধরন। এখন অপেক্ষা— ট্রাম্পের এই ‘জিনিয়াস’ সিদ্ধান্ত সফল নাকি বুমেরাং হয়।