সুদানে বিমান বাহিনীর হামলায় আমিরাতের বিমান ধ্বংস, নিহত ৪০


সুদানের রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ভয়াবহ বিমান হামলা। দারফুরের নিয়ালা বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা একটি কার্গো বিমানে বোমা বর্ষণ করেছে সুদানের বিমানবাহিনী। বিমানটি আরএসএফের (র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস) নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অবতরণের সময়ই হামলা চালানো হয়, যার ফলে সেটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায় এবং নিহত হয় অন্তত ৪০ জন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে সুদানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ‘বুধবার গভীর রাতে এই হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে।’
ঘটনাস্থলে থাকা সামরিক সূত্রের দাবি, বিমানটিতে কলম্বিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা এবং সামরিক সরঞ্জাম বহন করা হচ্ছিল, যা আরএসএফের জন্য পাঠানো হয়েছিল।
‘দারফুরের নিয়ালা বিমানবন্দরে আমিরাতের বিমানটিতে বোমা হামলা করে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে।’ এএফপিকে বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্মকর্তা।
আরএসএফ এখনো এ হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আমিরাতের এক সরকারি কর্মকর্তা পাল্টা দাবি করেছেন, ‘সুদানের সেনাবাহিনী বিমানটি ধ্বংস করেছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এর নিন্দা করছি।’
বিমানটি উপসাগরীয় অঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে ছেড়ে এসেছিল বলে জানা গেছে। এতে বিদেশি যোদ্ধা ও উন্নত অস্ত্র ছিল, যা আরএসএফকে সহায়তা দিতে পাঠানো হচ্ছিল।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দেখব আমরা তাদের মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে পারি কিনা।’
সংযুক্ত আরব আমিরাত নিয়ালা বিমানবন্দর ব্যবহার করে আরএসএফকে ড্রোন ও অন্যান্য প্রযুক্তি সরবরাহ করছে, দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ সুদানের সেনাবাহিনীর। যদিও আমিরাত এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক গবেষণা ল্যাব সম্প্রতি স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেছে যেখানে নিয়ালা বিমানবন্দরে চীনের তৈরী দূরপাল্লার ড্রোনের উপস্থিতি দেখা যায়।
মাত্র ক’দিন আগেই সুদানের সেনাবাহিনীপন্থী সরকার দাবি করেছে, ‘আরএসএফের হয়ে লড়াই করার জন্য কলম্বিয়ান ভাড়াটেদের নিয়োগ এবং অর্থায়নের অভিযোগ করেছিল। দাবি করেছে, তাদের কাছে এটি প্রমাণ করার মতো যথেষ্ট নথি রয়েছে।’
জাতিসংঘের নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞরাও নিশ্চিত করেছেন, কলম্বিয়ান যোদ্ধারা ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ দারফুরে পৌঁছায় এবং আরএসএফের বিভিন্ন ফ্রন্টে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।