হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন আবেদনের শুনানি দুই মাস পিছিয়েছে। খায়রুল হকের আইনজীবীর করা মুলতবি আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেন।
রোববার এই বেঞ্চে জামিন আবেদনটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আদালতে খায়রুল হকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য নির্ধারিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে তিনি শুনানি মুলতবির আরজি জানান। তবে ব্যক্তিগত অসুবিধাগুলো কী, তা তিনি উল্লেখ করেননি।
আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, আদালতের আসন্ন বার্ষিক ছুটির পর জামিন আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বার্ষিক ছুটি শুরু হবে, যা চলবে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত।
এর আগে গত ১১ আগস্ট এই বেঞ্চেই খায়রুল হকের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। সেদিন আদালত শুনানির জন্য আজকের তারিখ ধার্য করেছিলেন।
গত বছরের ১৮ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আব্দুল কাইয়ুম আহাদ হত্যার অভিযোগের মামলায় গত ২৪ জুলাই ঢাকার ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত ৭ আগস্ট মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করা এবং জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিচারপতি খায়রুল হক।