দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির জন্য প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশে কেউ আর নিরাপদ নয়। খুন, সন্ত্রাস, সহিংসতা- সবকিছুর পেছনে রয়েছে সরকারি ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।’
মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘রাজধানীর চকবাজারে পাথর দিয়ে পিটিয়ে ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ ও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও যারা সরাসরি খুনের সঙ্গে যুক্ত, তাদের বাদ দিয়ে মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণেরই প্রমাণ।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় যেসব যুবদল ও ছাত্রদল কর্মীদের নাম এসেছে, তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবুও এই বিচারে গাফিলতি সরকার ও পুলিশের পরিকল্পিত ব্যর্থতা ছাড়া কিছু নয়।’
দীর্ঘ ১৬ বছরের দমন-পীড়নের কথা উল্লেখ করে যুবদল সভাপতি বলেন, ‘আমরাই গণআন্দোলনের সবচেয়ে বেশি মূল্য পরিশোধ করেছি। আমাদের বহু নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। তারপরও আমরা আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা না ছড়িয়ে সাংগঠনিক শুদ্ধতায় মন দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন কি সমানভাবে আইন প্রয়োগ করেছে? কেন এখনও দোষীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না?’
মোনায়েম মুন্না অভিযোগ করেন, ‘একটি বিশেষ গোষ্ঠী দেশে পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। সরকারের একাংশ সেই গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রশাসনকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছে। উদ্দেশ্য- জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া এবং বিএনপিকে বিতর্কিত করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘তরুণদের একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, তরুণরা বিএনপির প্রতি আস্থা রাখছে। এরপরই একটি ষড়যন্ত্রচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে।’
চাঁদপুরে ইমামের ওপর হামলা, কুমিল্লায় একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা, খুলনায় যুবদলের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা- এসব ঘটনাগুলোর কোনওটির বিচার হয়নি বলেও অভিযোগ করেন মুন্না।
তিনি বলেন, ‘এইসব ঘটনায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানালেও সরকার ব্যবস্থা নেয়নি। বরং তারা রাজনৈতিকভাবে সুবিধা নিতে বিএনপিকে ঘিরে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে যুবদল ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।