সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রত্যাহারের দাবিতে আজও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা– কর্মচারীরা। সোমবার সকাল ১১টার পর তৃতীয় দিনের মতো কাজ বন্ধ করে সচিবালয়ের ছয় নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। তারা বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন করছেন তারা।
সমাবেশ থেকে তারা আজকের মধ্যেই এই আইন বাতিলের দাবী জানান। দাবী মানা না হলে সচিবালয় অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তারা। পরে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নেন সবাই। এর ফলে ওই গেট দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মিছিলে অবৈধ কালো আইন বাতিল করার দাবি সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করার পাশাপাশি শ্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সচিবদের চুক্তি বাতিলেরও দাবী জানান তারা।
রোববার সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। অধ্যাদেশে চার অপরাধের জন্য চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে। তারা এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করেছেন তারা।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতাভুক্ত করা হয়। সেগুলো হলো, কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে; অন্যান্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন।
এছাড়া কোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন; এবং যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।
অধ্যাদেশে বলা হয়, অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। আর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তাকে কেন দণ্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।