সময়ের জনমাধ্যম

সমঝোতা হওয়া আসনে প্রার্থী থাকবেনা আওয়ামী লীগের

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভাগাভাগির নির্বাচন বলছে বিএনপি ও তার দোসররা। নির্বাচন বানচালে তারা যতই বাধা দিক নির্বাচন বাধাপ্রাপ্ত হবে না। এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রোববার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে চলছে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি ও তার দোসররা নির্বাচন বানচালে প্রতিদিন আগুন দিচ্ছে। হরতাল- অবরোধ ডাকছে।

এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,
শরীক ও মিত্রদের সাথে সমঝোতা হওয়া আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিবে। বলেন, নির্বাচনের পর দেশে আরব বসন্ত হবে- এমন উপাদান বাংলাদেশে নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাবে এমন তথ্য তার কাছে নেই।
তাদের সাথে আওয়ামী লীগের সমঝোতা আছে। এখানে কোনপ্রকার অশোভন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। আমরা বসেই আলোচনা করেছি এবং শুধুমাত্র আসন ভাগাভাগি নয়, বিএনপি নির্বাচন বয়কট, প্রতিরোধের যে ডাক দিয়েছে এটা নিয়ে নির্বাচনে আসা সমমনা দলগুলোর সবার যে ঐক্য থাকা দরকার সে বিষয়েও কথা হয়েছে।

আসন ছাড় ও প্রত্যাহারের বিষয়টি বিকেল চার টার মধ্যে পরিষ্কার করা হবে বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের দিনকে এক বিএনপি নেতা পরাজয় দিবস বলছেন। পরাজয়তো বিএনপি ও জামাতের; পাকিস্তানের যারা দোসর। তারা মানুষের জন্য রাজনীতি করে না, গণতন্ত্রে তারা বিশ্বাস করে না। ষড়যন্ত্র, সহিংসতা, গুপ্ত হামলা চালিয়ে নির্বাচন বানচালে তাদের রঙ্গিন খোয়াব সফল হবে না।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।