সময়ের জনমাধ্যম

সন্তানের সামনে বাবা মায়ের বিয়ে!


মাদারীপুরে বাবা মায়ের বিয়ের প্রত্যক্ষদর্শী হলো এক শিশু। সোমবার রাতে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ওই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এর উদ্যোগে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে মিলন ও সুমির বিয়ে হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের খাগদা গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে মিলন সরদারের সাথে পার্শ্ববর্তী কেন্দুয়া ইউনিয়নের ঘটকচর গ্রামের শওকত আলীর মেয়ে সুমি আক্তারের বিয়ে হয়েছিল তিন বছর আগে। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু পারিবারিক কলহের জেরে তাদের সম্পর্কের অবনতি হলে সুমি বাদী হয়ে মাদারীপুর আদালতে স্বামী মিলনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে সুমিকে তালাক দেন।

সোমবার সুমির দায়ের করা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ওইদিন মিলন, সুমি ও তাদের একমাত্র সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণকালে ছোট্ট একটি শিশু এজলাসের ভিতরে ছোটাছুটি করছিল। এসময় বিচারক শিশুটির পরিচয় জানতে চাইলে উভয়পক্ষ জানায় মামলার আসামি ও বাদীর সন্তান। এরপর বিচারক মামলার বাদি ও আসামিকে তাদের সন্তানের কথা বিবেচনা করে তাদের সংসার করার পরামর্শ দেন। বিচারকের পরামর্শ মেনে তারা পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং, ঘটমাঝি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট বাবুল আকতারসহ আইনজীবী ও আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মাদারীপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ বলেন, উভয়পক্ষকে আমার চেম্বারে নিয়ে বসে পুরো ঘটনা জেনেনমনে হলো দু’জনের ভুল বোঝাবুঝির কারণে তাদের বিচ্ছেদ হয়েছিল। পরে সকলের উপস্থিতিতেই বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করলাম। ভেঙে যাওয়া একটি সংসার পুনরায় জোড়া দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’